Loading...
The Financial Express

অভিবাসী ‘সংকট’ ঘিরে নিউ ইয়র্ক শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

| Updated: October 08, 2022 20:28:56


ছবি: রয়টার্স ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল নামায় ‘সংকটজনক পরিস্থিত’ তুলে ধরতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন মেয়র এরিক অ্যাডামস। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

গত ছয় মাসে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত থেকে নগরীটিতে এ পর্যন্ত ১৭ হাজারেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী এসে হাজির হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে টেক্সাস, আরিজোনা ও ফ্লোরিডার মতো রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্যগুলো ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের পাঠানো শুরু করেছে।

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশী হাজির হওয়ার পর হোয়াইট হাউসের সঙ্গে রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্যগুলোর মতভেদের জেরে এ ঘটনা ঘটছে।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র অ্যাডামস জানান, সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়টি বাস অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে নগরীতে হাজির হচ্ছে।

তিনি জানান, এখন নগরীর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর প্রতি পাঁচ জন বাসিন্দার একজন অভিবাসন প্রত্যাশী।

যারা আসছেন তাদের মধ্যে অনেক পরিবারে স্কুলে যাওয়ার বয়সী শিশু আছে আর তাদের অনেকেরই জরুরি চিকিৎসা সেবা দরকার বলে জানান অ্যাডামস।

অভিবাসন প্রত্যাশীরা এই হারে আসতে থাকায় চলতি অর্থবছরে নিউ ইয়র্কের অতিরিক্ত এক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে জানিয়ে মেয়র এই ব্যয় বহনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

অ্যাডামস বলেন, “নিউ ইয়র্কবাসী ক্ষুব্ধ। আমিও ক্ষুব্ধ। আমরা এটা চাইনি।”

নিউ ইয়র্ক তার সামর্থ্যের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে উল্লেখ করে ‘অন্যরা রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে’ নগরীর সামাজিক বিভাগকে চাপে ফেলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

টেক্সাস, আরিজোনা ও ফ্লোরিডা- এই তিনটি রাজ্য অভিবাসন প্রত্যাশীদের ডেমোক্রেট নেতৃত্বাধীন এলাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের চাপ কমাতে এ কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে সীমান্তবর্তী মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

তারা আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তগুলো অতিক্রম করে প্রবেশ করতে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা কমাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন যেন আরও কিছু করে সে বিষয়ে চাপ বাড়াতেই তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।

Share if you like

Filter By Topic