ডি নদীর পাশ ঘেঁষে থাকা থাকা বালমোরালের রাজপ্রাসাদের প্রতি রানির ভালোবাসা ছিল সুবিদিত।
আবেরদিনশায়ারে অবস্থিত ৫০ হাজার একরবিশিষ্ট বিশাল এই বাড়িতেই এলিজাবেথ তার বেশিরভাগ গ্রীষ্মকাল কাটিয়েছেন, অধিকাংশ সময়ই তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী ফিলিপ ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।
শিশুকালে দাদা রাজা পঞ্চম জর্জ ও দাদি রানি মেরির সঙ্গে দেখা করা থেকে শুরু করে জীবনের শেষ মাসগুলোসহ রানির জীবনের আনন্দময় অনেক ছুটিই গ্রামাঞ্চলবেষ্টিত এই বালমোরালে প্রাসাদে কেটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এই প্রাসাদেই অসংখ্য রাজকীয় গার্ডেন পার্টি আয়োজন করেছেন ৭ দশক ধরে রাজ করে যাওয়া ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী; রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দেখেছেন ব্রিমার হাইল্যান্ড গেইমসও।
প্রিন্স ফিলিপের শেষ বছরগুলোতে বালমোরাল প্রাসাদেই স্বামীর সান্নিধ্যে কাটিয়েছেন তিনি; লকডাউনের সময় এবং ২০২০ সালের নভেম্বরে নিজেদের ৭৩তম বিবাহবার্ষিকীও এখানেই পালন করেছেন তারা।
১৮৫২ সালে ফারকুহারসন পরিবারের কাছ থেকে রানি ভিক্টোরিয়ার স্বামী প্রিন্স আলবার্ট প্রাসাদটি কিনে নেওয়ার পর থেকে বালমোরাল ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম বাসস্থান হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। কেনার সময় আদি প্রাসাদটি বেশ ছোটই ছিল, পরে সেখানে বালমোরাল প্রাসাদ বানানোর কাজ শুরু হয়।
এখনকার প্রাসাদটি স্কটিশ ব্যারোনিয়াল স্থাপত্যের নিদর্শন, এটি হিস্টোরিক এনভায়রনমেন্ট স্কটল্যান্ডের ‘ক্যাটাগরি এ’ তালিকার ভবন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।
নতুন প্রাসাদটির নির্মাণকাজ ১৮৫৬ সালে শেষ হয়, এর কিছুদিনের মধ্যেই পুরনো প্রাসাদটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রাসাদটি রানির ব্যক্তিগত সম্পদ, রাজপরিবারের সম্পদ নয়। এখানে বন ও কৃষিজমি আছে, আছে নানান প্রজাতির পশুপাখি।
১৯৯৭ সালের ৩১ অগাস্ট প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর রাজপরিবার ওই প্রাসাদে একত্রিত হয়েছিল। ওই মৃত্যুর ঘটনার পর বেশ কিছুদিন প্রাসাদটি সাধারণ মানুষেরও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।