ইউক্রেইন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার পাশাপাশি রাশিয়াকে তার কর্মকাণ্ডের জন্য অবশ্যই পরিণতির মুখোমুখি করানোর প্রস্তাব রেখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি রেজ্যুলেশন পাস হয়েছে।
একে পশ্চিমাদের ‘আনুষ্ঠানিক ডাকাতি’বলে বর্ণনা করে ক্রেমলিন ক্ষোভের সঙ্গে ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানায় বিবিসি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে পশ্চিমাদের রাশিয়ার আন্তর্জাতিক রিজার্ভ জব্দ করা আটকাতে তারা কাজ করবেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
“এটা পশ্চিমাদের আনুষ্ঠানিক ডাকাতির চেষ্টা। যা ব্যক্তিগত সম্পদের সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।”
জাতিসংঘের ওই রেজ্যুলেশনে বলা হয়, রাশিয়াকে অবশ্যই ‘আন্তর্জাতিকভাবে তার সমস্ত অন্যায় কাজের আইনি পরিণতি বহন করতে হবে। যার মধ্যে আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের জন্য যে ধরণের ক্ষতিই হোক না কেনো তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’।
সংস্থাটি থেকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ইউক্রেইনের সহযোগিতায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রমাণ এবং দাবির রেকর্ড রাখার জন্য একটি আন্তর্জাতিক নিবন্ধন ব্যবস্থা শুরু করার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
যদিও কোনো দেশের বিরুদ্ধে আনা জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন প্রতীকী এবং আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি কাউকে তাদের রেজ্যুলেশন পালনে বাধ্য করতে পারে না।
তারপরও ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই রেজ্যুলেশনকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বলেছেন, রাশিয়া যে ক্ষতিপূরণ দেবে সেটা এখন ‘আন্তর্জাতিক বৈধ বাস্তবতায়’ পরিণত হয়েছে।
ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব নিয়ে ভোটের আগে জাতিসংঘে কিইভের রাষ্ট্রদূত সেরগি কিসলিৎসিয়া বলেন, এই যুদ্ধে রাশিয়া ইউক্রেইনের কারখানা থেকে শুরু করে আবাসিক ভবন এমনকি হাসপাতালগুলোতেও হামলা চালিয়েছে।
“এসব অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করতে অর্থের প্রয়োজন। যদিও এই ক্ষতিপূরণ রাশিয়ার আক্রমণের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচারের অনুভূতি ছাড়া কখনোই সম্পূর্ণ হবে না।
“রাশিয়াকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার সময় এসে গেছে,” বলেও বলেন তিনি।
জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া এই রেজ্যুলেশনকে ‘আইনগতভাবে অকার্যকর’ বলে বর্ণনা করেছেন।
বিবিসি জানায়, জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ৯৪ জন রেজ্যুলেশনের পক্ষে ভোট দেন। রাশিয়া, চীন ও ইরানসহ ১৪টি ভোট বিপক্ষে পড়ে। বাকি দেশগুলো ভোট দান থেকে বিরত থেকেছে।