মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনে দায়ী হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকায় ২০১৮ সালেই বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-কে সহায়তা করা বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে র্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও বলেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে গত ৬ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে র্যাব গঠন ও প্রশিক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ, অস্ত্রশস্ত্র ও প্রযুক্তিগত সহায়তার পরও র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সূত্র ধরে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইসের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মন্তব্য’ জানতে চান এক সাংবাদিক।
জবাবে নেড প্রাইস বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘনে দায়ী হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকায় আমরা র্যাবকে সহায়তা করা ২০১৮ সালেই বন্ধ করেছি। এ সংস্থাকে সহায়তা করা আমরা বন্ধ করেছি প্রায় চার বছর আগেই।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ কিংবা দক্ষিণ এশিয়া কিংবা সারা বিশ্বে, আমরা মানবাধিকারকে পররাষ্ট্র নীতির কেন্দ্রে রেখেছি। সে অনুযায়ী, মানবাধিকার লঙ্ঘন যখন যেখানে হয়, তার সাথে জড়িতদের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ ও তাদের উপর আলো ফেলার বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
“র্যাবের জবাবদিহিতা ও সংস্কারের জন্য এবং বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লংঘন রুখতে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।”
মানবাধিকারের মৌলিক নীতির আলোকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে মুখপাত্র বলেন, “দায়ীদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনার মত করে অপরাধ মোকাবেলা, বিচার কাজ পরিচালনা ও আইনের শাসন নিশ্চিতে আমরা দেশগুলোকে সহযোগিতা করে যাব। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে আমাদের প্রশিক্ষণ সেই মৌলিক নীতিকেই তুলে ধরে।”