নতুন এক সফটওয়্যার আপডেট নিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক। এর মাধ্যমে এমন এক টুলে প্রবেশাধিকার মিলবে, যা ব্যবহারকারীকে পরিষ্কারভাবে দেখাবে যে তিনি ‘শ্যাডোব্যান’-এর শিকার হয়েছেন কি না। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
‘শ্যাডোব্যান’ শব্দের মানে প্ল্যাটফর্ম ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণ অর্থে ‘শ্যাডোব্যান’ মানে ব্যবহারকারীর পোস্ট অন্যের সামনে না আসা বা কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই প্রোফাইল খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি জটিল হয়ে যাওয়া বোঝায়।
মাস্ক বলছেন, শ্যাডোব্যানড হওয়ার মূল কারণ ব্যাখ্যার পাশাপাশি এর বিপরীতে আপিলের বিভিন্ন উপায় নিয়েও পরামর্শ দেবে আসন্ন এই টুল।
সম্প্রতি, একই ধরনের ফিচার চালু করেছে ইনস্টাগ্রাম। এর সর্বশেষ আপডেট ব্যবহারকারীকে জানায়, তার অ্যাকাউন্ট ‘রেকমেন্ডেশন’ সুবিধা থেকে নিষিদ্ধ হয়েছে কি না। এই মূহুর্তে কেবল ‘এক্সপ্লোর’, ‘ফিড’ ও ‘রিলস’ অপশন থেকে অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়েছে কি না, সেটি জানতে পারেন ব্যবহারকারী।
তবে, এই টুলের বিস্তৃতি বাড়াতে কাজ করছে ইনস্টাগ্রাম। ফলে, ব্যবহারকারী জানতে পারবেন, তিনি ‘সাজেস্টেড অ্যাকাউন্ট’ অপশন থেকেও ব্লক হয়েছেন কি না।
টুইটার কীভাবে এই ফিচার বাস্তবায়ন করবে, তা নিয়ে মাস্ক কিছুই বলেননি। তবে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক ব্যারি উইজ ‘টুইটার ফাইলস’-এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশের পরপরই তিনি এই ঘোষণা দেন।
উইজ বলেন, কয়েকজন রক্ষণশীল ব্যক্তিত্বের ওপর ‘ভিজিবিলিটি ফিল্টারিং’ নামে পরিচিত এক ব্যবস্থার সহায়তা নিয়েছে টুইটার, যা ‘শ্যাডোব্যানিংয়ের’ আরেক রূপ।
টুইটারের মালিকানা বুঝে নেওয়ার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, নিও-নাৎসি কনটেন্ট নির্মাতা অ্যান্ড্রু অ্যাংলিন’সহ প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধঘোষিত বেশ কিছু শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে এনেছেন একসময় নিজেকে ‘বাক স্বাধীনতার ধারক’ হিসেবে দাবি করা মাস্ক।
মাস্কের টুইটার অধিগ্রহনের পর থেকেই কনটেন্ট মডারেশন নিয়ে শঙ্কা ও নিষিদ্ধঘোষিত ব্যক্তিত্বদের প্ল্যাটফর্মে ফিরিয়ে আনায় প্ল্যাটফর্মটি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বিজ্ঞাপনদাতারা।
নভেম্বরের শেষে এক ব্লগ পোস্টে টুইটার বিজ্ঞাপনদাতাদের নিশ্চিত করেছে, ‘তাদের নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন আসেনি’।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপনদাতা ফেরাতে নতুন এক শ্রেণির বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করছে টুইটার। এটি চালু হতে পারে আগামী সপ্তাহ থেকেই। এর ফলে, বিজ্ঞাপনদাতা তার পছন্দের ‘কি ওয়ার্ড’ বাছাই করে প্ল্যাটফর্মের ওপরে বা নীচের অংশে থাকা বিভিন্ন টুইটের সঙ্গে নিজের বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করতে পারবেন।