কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ‘রোহিঙ্গাদের হাতে অপহৃত’ দুই কৃষক দুই দিনের মাথায় ফিরে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে একদল বন্দুকধারী উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনা এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় আরও তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
শনিবার বিকালে তারা ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ফিরে আসা দুজন হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর মৃত উলা মিয়ার ছেলে নজির আহমদ (৫০) এবং তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭)।
ওসি বলেন, “গরু ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে এ দুইজনকে জিম্মি করা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।”
“এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা এখনও মামলা করেনি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
তবে হ্নীলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী দাবি করেছেন, “ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে দুই কৃষককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিকালে টাকা দেওয়ার পর বাবা ও ছেলেকে ছেড়ে দিয়েছে। তারা বাড়ি ফিরেছেন।”
“তবে, এ ব্যাপারে মামলা না করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে”, যোগ করেন রাশেদ মোহাম্মদ আলী।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আবুল মঞ্জুর জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে ওই পাঁচজন খেতে কাজ করতে যান। সেখান থেকে তাদের ১০-১২ জন ‘রোহিঙ্গা’ যুবক অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে কৃষকদের স্বজনেরা দল বেঁধে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ‘গুলি করে ও কুপিয়ে’ ফেলে রেখে বাকি দুজনকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের ভেতরের দিকে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
আহত তিনজন হলেন পানখালী এলাকার আবুল মঞ্জুরের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৫), ঠাণ্ডা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৪০) ও আবু বক্করের ছেলে মেহেদী হাসান (১২)।
গুলিবিদ্ধ শাহজাহানকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং আবু বক্কর ও তার ছেলে মেহেদীকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
একটি মোবাইল ফোন থেকে অপহৃতদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দাবি করা হলেও পরে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায় বলে স্বজনরা জানান।