গোলের পর গোল, রেকর্ডের পর রেকর্ড, একগাদা শিরোপা- ফুটবল দুই হাত ভরে দিয়েছে মেসিকে। একটি অপ্রাপ্তি তবু ছিলই- বিশ্বকাপ জয়। অবশেষে ক্যারিয়ারের গোধূলি বেলায় ধরা দিল সেই স্বপ্নের ট্রফি। তাতে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের খুশির অন্ত নেই।
কাতার আসরের ফাইনালে রোববার ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় আর্জেন্টিনা। মেসি ভাসছেন স্বপ্নপূরণের উচ্ছ্বাসে।
“এটা (বিশ্বকাপ জয়) যে কারো শৈশবের স্বপ্ন। আমি ভাগ্যবান যে, এই ক্যারিয়ারে সবকিছু অর্জন করতে পেরেছি...যেটা এতদিন বাকি ছিল, সেটা এখানে পেলাম।”
জাদুকরী পারফরম্যান্সে আসরজুড়ে দলকে সামনে থেকে পথ দেখিয়েছেন মেসি। ফাইনালেও ব্যতিক্রম হয়নি। তার গোলেই এগিয়ে যায় দল। শেষ দিকে যখন দ্রুত কিলিয়ান এমবাপের দুই গোলে ২-২ সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নেয় ফ্রান্স, আবার দলকে এগিয়ে নেন মেসি। নাটকীয়তায় ভরা লড়াইয়ে এমবাপের আরেকটি গোলে ফরাসিরা ফের সমতায় ফেরার পর পেনাল্টি শুটআউটে জিতে তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসে মাতে আর্জেন্টিনা।
গ্যালারিতে হাজার হাজার আর্জেন্টাইন সমর্থক কেঁদেছেন। মেসিকে জড়িয়ে কেঁদেছেন তার সতীর্থরাও, অনেক দিন ধরেই যিনি তাদের প্রাণভোমরা।
১৯৮৬ সালে প্রায় একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়েছিলেন দিয়েগো মারাদোনা। প্রায় একইভাবেই এবার দলের শিরোপা জয়ের কারিগর মেসি। এখন মারাদোনার সঙ্গে মেসির তুলনায় আর কেউ হয়তো প্রশ্ন তুলবে না।
আট বছর আগেও বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন মেসি। মারাকানার সেই ম্যাচে জার্মানির কাছে হেরে একরাশ হতাশা সঙ্গী হয়েছিল তার। ক্লাব পর্যায়ে সবকিছুই তার জেতা হয়ে গেছে। গত বছর কোপা আমেরিকা জিতে জাতীয় দলের হয়ে একটি শিরোপার আক্ষেপও ঘুচে যায়।
এবার বিশ্বকাপ জিতে পূর্ণ হলো প্রাপ্তির ষোলোকলা। ৩৫ বছর বয়সী মেসি কৃতজ্ঞতা জানালেন সৃষ্টিকর্তার প্রতি।
“এই ট্রফি জিতে আমার ক্যারিয়ার শেষ করতে চেয়েছিলাম, আমি আর কিছু চাইতে পারি না। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, তিনি আমাকে সবকিছু দিয়েছেন।”