৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হতে পারে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে

জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন


FE Team | Published: January 18, 2023 19:10:54 | Updated: January 19, 2023 17:15:03


৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হতে পারে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে

আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তরে এই তথ্য জানান তিনি। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চলমান অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

ফরহাদ হোসেন জানান, গেল বছর ৪০তম বিসিএসে ১ হাজার ৯২৯ জন নিয়োগ করা হয়েছে। ৪২তম বিশেষ বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে ৩ হাজার ৯৬৬ সহকারী সার্জন নিয়োগ করা হয়েছে। ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলমান। ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন চলমান এবং ৪৪তমের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে ১১ জানুয়ারি। ৪৫তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়েছে ৩০ নভেম্বর।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস-২০২১ এর (২০২২ সালের জুনে প্রকাশিত) তথ্য অনুযায়ী- সরকারের অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর ও সরকারি কার্যলয় সমূহে বেসামরিক জনবলের মোট শূন্য পদ ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি।

এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ৪৩ হাজার ৩৩৬টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৪০ হাজার ৫৬১, তৃতীয় শ্রেণির ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৮ এবং চতুর্থ শ্রেণি পদে শূন্য পদ ১ লাখ ২২ হাজার ৬৮০টি।

সরকারি অফিসগুলোর শূন্য পদের নিয়োগ চলমান প্রক্রিয়া বলে জানান তিনি।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদে ৫ হাজার ৪৩৬টি শূন্য পদের চাহিদাপত্র পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত সুপারিশযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস-২০২১ প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে নারী ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৯১ জন, যা মোট চাকরিজীবীর প্রায় ২৬ শতাংশ। ২০১০ সালে এই হার ছিল ২১ শতাংশ।

প্রথম শ্রেণির পদে নারীদের জন্য আলাদা কোটা না থাকলেও ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে নিয়োগে নারীদের জন্য ১৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা আছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

 

Share if you like