মহাকাশে অবস্থান করা নাসার এক স্যাটেলাইট প্রায় চার দশক পর ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি ‘আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট (ইআরবিএস)’ নামে পরিচিত।
১৯৮৪ সালে ‘চ্যালেঞ্জার’ স্পেস শাটলের মাধ্যমে এটি মহাকাশে উৎক্ষেপিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, পৃথিবী কীভাবে সূর্য থেকে শক্তি শোষণ ও বিকিরণ করে তা নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে কেবল দুই বছরের জন্য নাসা একে মহাকাশে পাঠিয়েছিল।
তবে, ২০০৫ সালে অবসরে পাঠানোর আগ পর্যন্ত এটি ওজন স্তর ও অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ চালিয়েছে।
আর প্রায় আড়াই টনের ‘বস্তুটি’ এখন ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে বলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, ভূপৃষ্ঠে পুনরায় প্রবেশের আগে স্যাটেলাইটের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যাবে। তবে, এর কিছুটা অংশ টুকরা অবস্থায় থাকার সম্ভাবনা আছে।
নাসা বলেছে, পড়ন্ত এই স্যাটেলাইটের ধ্বংসাবশেষ কারও ওপর পড়ার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’। এইসব ধ্বংসস্তুপ ভূপৃষ্ঠের কোনো জনগোষ্ঠির ওপর সরাসরি এসে পড়লেও এতে শারীরিক আঘাতের ঝুঁকি প্রায় ১০ হাজার ভাগের এক ভাগ।
তবে, পৃথিবীর আনুমানিক জনসংখ্যা আটশ কোটি হওয়ায় ১০ হাজার ভাগের এক ভাগও ছোট কোনো সংখ্যা নয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ভূপৃষ্ঠে এটি আছড়ে পড়বে রোববার রাতে বা এর ১৭ ঘণ্টার মধ্যে।
তবে, ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের’ অনুমান বলছে, এটি ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে পারে সোমবার সকালে বা এর ১৩ ঘণ্টার মধ্যে।
স্যাটেলাইটটি আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে পশ্চিমাংশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে স্কাই।
মহাকাশযান চ্যালেঞ্জারের রোবটিক বাহুর সহায়তায় ‘ইআরবিএস’কে কক্ষপথে পাঠিয়েছিলেন মহাকাশে যাওয়া প্রথম মার্কিন নারী স্যালি রাইড।
রাইডের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ মহাকাশ অভিযান ছিল এটি। ২০১২ সালে তিনি মারা যান। একই মিশনের অংশ ছিলেন ‘মহাকাশে হাটা’ প্রথম মার্কিন নারী নভোচারী ক্যাথরিন সালিভান। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।