জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মৃত্যু ঠেকাতে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের নারীদের টিকা দেওয়া শুরু করছে সরকার।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানিয়েছেন।
জাহিদ মালেক বলেন, “জরায়ুমুখের ক্যান্সার শনাক্তে সারাদেশেই স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম আছে। এটা আরও বেগবান করা আমাদের একটি চলমান প্রক্রিয়া।
“এই রোগের একটি টিকা আছে এইচপিভি। সেপ্টেম্বর মাস থেকে দেশের সব নারীদের জন্য এই টিকা কার্যক্রম শুরু করব। আমরা মনে করি, এতে জরায়ুমুখ ক্যান্সার অনেক কমে যাবে।”
বাংলাদেশে নারীরা স্তন ক্যান্সারের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর ৫ লাখ ৭০ হাজার নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, মারা যান ৩ লাখের বেশি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮ হাজার ২৬৮ জন নারীর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। বছরে মারা যাচ্ছে ৪ হাজার ৯৭১ জন।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ১০ বছর বয়সের পর থেকেই টিকা নেওয়া যায়। এই টিকার তিনটি ডোজ নিতে হয়। প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং তার তিন মাস পর তৃতীয় ডোজ নিতে হয়।
বিনামূল্যের এই টিকা প্রাথমিকভাবে দেশের ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী কিশোরীদের দেওয়া হবে।
দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে স্তন ক্যান্সার শনাক্তের যন্ত্রও দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, “আমাদের দেশে অনেকে ব্রেস্ট ক্যান্সারেও আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে এই রোগ শনাক্তের যন্ত্রের অপ্রতুলতা রয়েছে। এই রোগটা যেন দ্রুত শনাক্ত করা যায়, সেজন্য মেমোগ্রাফির যন্ত্রপাতি অন্তত প্রতি জেলায় দিতে পারি। পরবর্তীতে উপজেলা পর্যায়ে দেওয়া হবে।”
সারাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে করণীয় সম্পর্কে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) সৈয়দ মজিবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকরা সভায় অংশ নেন।