গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে ঢাকা থেকে বন্ধ করা কেন্দ্রগুলো বাদে সবগুলোতে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি তার কাছে স্পষ্ট নয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মোহাম্মদপুরে নগর পরিবহনের নতুন দুটি রুট উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বন্ধ করা ৫১ কেন্দ্রের বাইরে সবগুলোতে সুষ্ঠু ভোট হওয়ার পরেও নির্বাচন স্থগিত করার যৌক্তিকতা তিনি বুঝতে পারছেন না।
এ সময় নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি বিনয়ের সঙ্গে ভেবে দেখতে আহ্বান জানান কাদের।
বুধবার গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের মাঝপথে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই উপ-নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে যে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল, তাতে অনিয়মের চিত্র দেখে এই সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
ক্ষমতাসীন দলের গাইবান্ধার নেতা-কর্মীদের সমালোচনার মধ্যেই সিইসি বৃহস্পতিবার বলেন, তারা ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।
কাদের বলেন, “গতকালকে (বুধবার) গাইবান্ধায় যেটা সংঘটিত হয়েছে, সেখানে প্রিসাইডিং অফিসারদের ভাষ্যমতে ৫১টি ভোটকেন্দ্র ঢাকা থেকে বন্ধ করা হয়েছে। এটা তারা করতে পারে। কিন্তু ঢাকায় বসে সাংবাদিকদের নিয়ে ওখানকার গোপন বুথের যে ছবি এখান থেকে চোখে ধরা পড়েছে...
“তার ভিত্তিতে কেন্দ্র (ভোট) বন্ধ করা কতটা যৌক্তিক, কতটা বাস্তবসম্মত, কতটা আইনসম্মত, এই ব্যাপারে আমি নির্বাচন কমিশনকে বিনয়ের সাথে ভেবে দেখতে বলবো।”
ভোট সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী কাদের বলেন, “ঢাকা থেকে নির্বাচন কমিশন যে কেন্দ্রগুলো বন্ধ করেনি, সেই কেন্দ্রগুলোর প্রিসাইডিং অফিসাররা সকলেই এক বাক্যে ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে বলেছে এবং কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা হয়নি। তারা (কমিশন) নির্বাচনী কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ভোট বন্ধ করেছে।”
এ সময় তার এ বক্তব্য যাচাই করে দেখতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন কাদের।
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে অতীতে কখনও এরকম নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই।
“কী কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হল সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।”
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন বিধিবিধান অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।