সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাস ক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ১ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড-বাপেক্স।
বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহিনুর ইসলাম হরিপুরের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “কিছু কার্যক্রম শেষে শিগগিরই এ কূপ থেকে উৎপাদন শুরু করতে পারব। খনন শুরুর আগে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব-ডিপিপিতে ধরা হয়েছিল প্রতিদিন ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
“তবে বর্তমানে মনে হচ্ছে, আরও বেশি মিলবে। প্রতিদিন এই কূপ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা আছে।”
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস্ লিমিটেডের অধীনে বিয়ানীবাজারের কূপ ছাড়াও গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা-৮ ও গোয়াইনঘাট-১০ নম্বর কূপ খনন এবং রশিদপুরে একটি পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলছে বলেও জানান প্রকৌশলী শাহিনুর।
“এসব কাজ শেষে গ্যাস উৎপাদন আরও বাড়বে। এ ছাড়া দুটি প্রকল্পের আওতায় বিয়ানীবাজার ফিল্ড এবং ব্লক-১৩ ও ১৪-এর আওতায় ডুপিটিলা, বাতচিয়া, হারারগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও সিলেট সাউথে ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপ কাজ সম্পন্নের পথে।”
সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীনে আরও কূপ খননের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “২০২৩ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস যুক্ত হবে। সব প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২০২৫ সালের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস্ লিমিটেড থেকে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাওয়ার আশা আছে।”
গত ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ানীবাজারের ১ নম্বর কূপে খনন শুরু করে বাপেক্স।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস্ লিমিটেড থেকে জানা যায়, তাদের অধীন বিয়ানীবাজার গ্যাস ক্ষেত্রে দুটি কূপ আছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়; ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১৬ সালের প্রথম দিকে উৎপাদন শুরু হলেও বছরের শেষ দিকে ফের বন্ধ হয়ে যায়। পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা এ কূপে ১০ সেপ্টেম্বর আবার খনন কাজ শুরু হয়।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে দেশে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর একে একে অন্যান্য গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়।