সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামালের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে; তার শরীরে ২৫টি ছুরিকাঘাতের ক্ষত পাওয়া গিয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, “কামালের বাম হাতে ১৬টি, বাম বগলের নিচে দুটি, বাম বুকে একটি ও বাম পায়ে ছয়টি আঘাত করা হয়েছে।”
রোববার রাত ৮টার দিকে নগরীর আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় ছুরি মেরে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী কামালকে। সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা কামাল এক সময় জেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক এবং সিলেট ল কলেজের জিএস ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় কামাল ছিলেন গাড়িতে। দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে খুনিরা গাড়ি আটকে কামালকে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। গুরুতর অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোমবার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে কামালের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বজনরা লাশ নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের আলীনগরে যাচ্ছেন বলে জানান উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
তিনি আরও বলেন, “খুনিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।”
কামাল হত্যাকাণ্ডের পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাজু নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ‘ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব’ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, বিএনপি নেতা কামালের ট্র্যাভেল এজেন্সির ব্যবসা ছিল। ব্যবসা নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। এই বিরোধের জেরে গত ১৫ অক্টোবর জিন্দাবাজার এলাকার আল মারজান শপিং সেন্টারের সামনে দুই পক্ষের হাতাহাতিও হয়।
পরদিন কামালসহ কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান সম্রাট। তিনি নগরীর বড়বাজার এলাকায় থাকেন। হত্যাকাণ্ড ওই এলাকাতেই ঘটেছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।