দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের এক এলাকায় হ্যালোউইন উৎসবে ব্যাপক মানুষের উপস্থিতিতে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে অন্তত ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
শনিবার রাতের এই ঘটনায় আরও দেড়শ জন আহত হয়েছে বলে ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন ইয়ংসান দমকল কেন্দ্রের প্রধান চই সুং বিয়ম। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা খুবই গুরুতর; তাদের মধ্যে অনেক নারী রয়েছেন, যাদের বয়স ২০ বছরের মধ্যে।
এর আগে তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, হ্যালোউইন উৎসবের মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ একটি সরু গলিতে পড়ে গেলে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে পদদলনের এ ঘটনা ঘটে।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রয়টার্স প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে লিখেছে, সন্ধ্যার পর ভিড় বাড়তে থাকে এবং উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা ক্রমে উচ্ছৃঙ্খল হতে থাকে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এরপরই আচমকা রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটে যায় এ দুর্ঘটনা।
ঘটনাস্থলের একাধিক ভিডিওতে ওই এলাকার সড়কগুলোতে মৃতদেহ বহনে ব্যবহৃত বডি ব্যাগ পড়ে থাকতে, জরুরি বিভাগের কর্মীদের অচেতন ব্যক্তির হৃদযন্ত্র সচলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে এবং উদ্ধারকর্মীদেরকে অনেকের নিচে চাপা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়ল।
মহামারী শুরুর পর প্রথমবার উন্মুক্ত স্থানে মাস্কবিহীন হ্যালোউইন উদযাপনে ইতায়েওনে শনিবার প্রায় লাখখানেক মানুষের সমাগম হয়েছিল বলে জানা গেছে।
সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে লিখেছিলেন, ইতায়েওনে এত ভিড় যে এলাকাটিকে অনিরাপদ লাগছে।
একাধিক ছবি ও ভিডিওতে জরুরি বিভাগের অসংখ্য কর্মীর পাশাপাশি সাধারণ অনেক মানুষকেও রাস্তায় পড়ে থাকা অচেতন লোকজনের শুশ্রুষা করতে দেখা গেছে।
একটি ভিডিওতে অসংখ্য লোককে ইতায়েওন জেলার একটি সরুগলিতে পড়ে থাকা অচেতন মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাস সচলে বুকে চাপ ও মুখে মুখ লাগিয়ে ভেতরে বাতাস দিতে দেখা গেছে।
ইয়ংসান জেলার প্রতিটি মোবাইলে পাঠানো বার্তায় নাগরিকদের ‘ইতায়েওনের হ্যামিল্টন হোটেলের কাছে এক জরুরি দুর্ঘটনার’ কারণে যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফিরতে অনুরোধ জানানো হয়েছে, জানিয়েছেন স্থানীয় এক সাংবাদিক।