লিউড সুপারস্টার সালমান খানকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এক কিশোরকে; ওই কিশোরসহ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে এই দাবি করেছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ বলছে, ভারতের মোহালিতে পাঞ্জাব পুলিশ সদরদপ্তরে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত দুজনকে তারা গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছে, তাদের মধ্যে কিশোর ছেলেটিকে সালমানকে খুনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে বলেছে, লরেন্স বিষ্ণোই তাকে, সুরখপুর ও ডাগরকে সালমান হত্যার জন্য বেছে নেন।
মনু ডাগর কারাগারে বন্দি থাকলেও দীপক সুরকপুর পলাতক আছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, পরেতে সালমানের পরিবর্তে গ্যাংস্টার রানা কান্দোওয়ালিয়াকে খুনের পরিকল্পনা করেন বিষ্ণোই। সেইসঙ্গে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুস ওয়ালাকে খুন করার পর সালমানকে হত্যার জন্য ‘প্ল্যান বি’ তৈরি করা হয়।
চলতি বছরের মে মাসে একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে ৩০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুস ওয়ালাকে। ওই হত্যার পেছনে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলকেই পুলিশের সন্দেহ।
সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাঞ্জাব ও দিল্লি পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হয় সিধু হত্যায় অন্যতম সন্দেহভাজন কপিল পণ্ডিত, যিনি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদেই বেরিয়ে আসে সালমান হত্যার দ্বিতীয় ছক। জানা যায়, মুম্বইয়ে পানভেলের সালমানের খামারবাড়িতেই তাকে খুন করার প্রস্তুতি চলছিল।
পুলিশ বলছে, এত পরিকল্পনা করেও খুনিরা সফল হতে পারেনি। এপ্রিলে দুবার সালমান পানভেলে ওই বাড়িতে গেলেও কপিল পণ্ডিত দুবারই সেই সুযোগ হারান, ব্যর্থ হয় তাদের ‘প্ল্যান বি’।
বলা হচ্ছে, ২০১১ সালে ‘রেডি’ সিনেমার শুটিংয়ের মাঝে সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই ।এরপর ২০১৮ সালে সালমানকে হত্যার জন্য তিনি তার সহযোগী সম্পত নেহরাকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু সে সময় অস্ত্রের জটিলতায় পরিকল্পনা মাফিক কাজ সারতে পারেনি খুনিরা।
২০২১ সালে থেকে তিহার জেলে বন্দি আছেন লরেন্স। গত জুনে সালমানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে উড়ো চিঠি আসার পর তার নাম ফের আলোচনায় আসে। তবে সে সময় পুলিশের কাছে হত্যার হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।