Loading...
The Financial Express

সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন ‘বিশ্বাসঘাতক’, ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি: মন্ত্রী মোজাম্মেল

| Updated: October 10, 2022 21:36:16


মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি মো. সাহাবুদ্দীন আহমদকে ‘বিশ্বাসঘাতকদের’ কাতারে ফেললেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, “স্বাধীনতার বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে যা যা করণীয়, সবই তিনি করেছেন। ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি।”খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

২০০১ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল বলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই বলে আসছেন।

তখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দ্বিতীয়বার দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সংগঠনের অনুষ্ঠানে মোজাম্মেল সেই প্রসঙ্গ ধরে বলেন, “রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য সাহাবুদ্দীন নিজেই শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানার বাড়িতে গিয়ে বসে থাকতেন।

“শেখ হাসিনা চাইলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন আসুক। এদেশে একজন শিক্ষিত, ভালো, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ মানুষ রাষ্ট্রপতি হোক। এই উদ্দেশ্যেই তাকে রাষ্ট্রপতি করা হয়।”

১৯৯০ এর গণআন্দোলনে এইচ এম এরশাদের পতন হলে আন্দোলনকারী তিন জোটের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন। নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে পরে প্রধান বিচারপতির পদে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি।

তিনি অবসরে থাকাকালে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পুনর্বার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। চলতি বছরের ১৯ মার্চ তার জীবনাবসান ঘটে।

মন্ত্রী মোজাম্মেল বলেন, “তাকে যে সম্মান দিয়ে রাষ্ট্রপতি করা হল, যেভাবে তাকে অনুনয়-বিনয় করে রাষ্ট্রপতি করা হল, কিন্তু তিনি শেখ হাসিনার বিপক্ষে এক কথায় স্বাধীনতার বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে যা যা করণীয় সবই তিনি করেছেন। ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি।”

মন্ত্রী মোজাম্মেল দাবি করেন, ১৯৯১ সালেও চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যেতে দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, “বিচারপতি সাহাবুদ্দীন যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তার নাম আলোচনা থেকে বাদ পড়ে। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস লিখতে গেলে খুনি মোশতাক, খুনি জিয়ার কথা বললে হবে না, সাহাবুদ্দীনের কথাও বলতে হবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন মোজাম্মেল।

বিএনপির নির্বাচন বয়কটের হুমকি নিয়ে প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “শুধু রাজনীতি করলেই হবে না, নির্বাচন বয়কট করলেই হবে না, বয়কট করার সামর্থ্য থাকতে হবে, যোগ্যতা, সাংগঠনিক অবস্থান থাকতে হবে।

“আজকে যারা বিরোধী দল তারা কখনোই সেই সাংগঠনিক অবস্থান তৈরি করতে পারে নাই। তারা শুধু শেখ হাসিনাকে হিংসা করতে পারে, তার মতো সাংগঠনিক দক্ষতা অর্জন করতে পারে নাই।”

আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির আংশিক অংশ প্রকাশ করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্স ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আল মামুনের নাম ঘোষণা হয়।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মহাসচিব (প্রশাসন) এমদাদ হোসেন মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম সুলতান আহমেদ, ঢাকা মহানগর কমান্ডার আমির হোসেন মোল্লা, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য-সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বক্তব্য দেন।

Share if you like

Filter By Topic