নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ১৪ জনকে নিয়ে বৈঠকে বসেছে বর্তমান কমিশন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বুধবার সকাল ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক শুরু হয়। সাবেক সিইসি আব্দুর রউফ, কে এম নূরুল হুদা, কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, মো. শাহনেওয়াজ অংশ নিচ্ছেন আলোচনায়।
এ ছাড়া সাবেক ইসি সচিব মোহাম্মাদ সাদিক, মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ, সিরাজুল ইসলাম, হেলাল উদ্দীন আহমেদ, এমএন রেজা এবং ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী ও মোখলেছুর রহমানও রয়েছেন।
এক তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়ার নজিরবিহীন ঘটনার পর নানামুখি আলোচনার মধ্যে সাবেকদের পরামর্শ নিতে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির এই আয়োজন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার কমিশনার রাশেদা সুলতানা, আনিছুর রহমান, মো. আলমগীর উপস্থিত রয়েছেন বৈঠকে। এদিন মোট ২৮ জনকে আমন্ত্রণ জানালেও উপস্থিত হয়েছেন ১৪ জন।
বর্তমান ইসির দায়িত্ব নেওয়ার পর গত সাড়ে সাত মাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন, জেলা পরিষদের নির্বাচনসহ পৌর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন হয়েছে।
কুমিল্লায় সরকারদলীয় এক সংসদ সদস্যের আচরণবিধি প্রতিপালনে কমিশনের ‘গড়িমসি’ আর ফলাফল ঘোষণায় মাঝপথে দেরির বিষয়টি ছিল আলোচনায়। ঝিনাইদহে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয়।
সবশেষ গাইবান্ধা উপনির্বাচন হয়েছে ১২ অক্টোবর, যেখানে সিসি ক্যামেরায় ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ার পর মাঝপথে ভোট বন্ধ করতে হয়েছে ইসিকে।
এই সভায় আমন্ত্রণ পাওয়া সাবেকরা বলছেন, আগামী নির্বাচন করার আগে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার কোথায় সমস্যা রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে, আর অনিয়মে সম্পৃক্তদের বিষয়েও কঠোর হতে হবে।
বর্তমান ইসির দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করেছে। এর আগেও এক দফা সাবেক সিইসি ও নির্বাচন কশিমনাদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। সেখানে অংশগ্রহণমূলক ভোটের বিষয়ে পরামর্শও দিয়েছিলেন তারা।
গত জুনের ওই বৈঠকে সাবেক সিইসি, ইসি ও কর্মকর্তাদের অন্তত ২৮ জনকে আমন্ত্রণ দিলেও বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন দশজন।