সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ কমতে কমতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে নিট বিক্রি ঋণাত্মক হয়ে গেছে। অর্থাৎ নতুন সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ গত মাসে আগের আসল পরিশোধের চেয়ে কম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে ৬ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এসময়ে ভাঙানো বা মেয়াদ শেষসহ বিভিন্ন কারণে তুলে ফেলা হয়েছে ৭ হাজার ৪৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এতে সেপ্টেম্বরে নিট বিক্রির পরিমাণ আসল পরিশোধের চেয়ে কম হয়েছে ৭০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে যা ছিল ২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের আগের মাস অগাস্টে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল মাত্র ৮ কোটি এবং জুলাইতে ছিল ৩৯৩ কোটি টাকা।
আর অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রথম প্রান্তিক শেষে নিট বিক্রি হয়েছে ৩৩০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের আলোচিত সময়ে ছিল ৮ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। শতাংশের হিসাবে কমেছে ৯৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।
অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সরকার নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এটি গত অর্থবছরের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নিয়েছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
গত সেপ্টেম্বর শেষে সঞ্চয়পত্রে সরকারের মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা।
ব্যাংকে আমানতের চেয়ে উচ্চ সুদের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করতে বিধিনিষেধে কড়াকড়ি এবং নানা শর্ত জুড়ে দেওয়ায় গত ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষের দিক থেকেই কমতে থাকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি।
এর সঙ্গে মূল্যস্ফীতির চাপে সঞ্চয়ে টান পড়ায় এ খাতে নতুন বিনিয়োগও কমে গেছে বলে মনে করছেন ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা।