বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের স্বপ্নযাত্রার শুরুতে ট্রেন চলবে কেবল উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত, থামবে না মাঝের কোনো স্টেশনে।
পাশাপাশি প্রথম কয়েক দিন একটি ট্রেন প্ল্যাটফর্মে এসে যাত্রী ওঠার জন্য অপেক্ষা করবে মিনিট দশেক করে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড-ডিএমটিসিএল বলছে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা নেই। এই বৈদ্যুতিক রেলে টিকেট কাটা, নিয়ম মেনে প্ল্যাটফর্মে ওঠা এবং ট্রেনে ওঠার অভিজ্ঞতা তৈরি করতে শুরুতে মাঝের স্টেশনগুলোতে ট্রেন থামবে না। একই কারণে স্টেশনে ট্রেন থাকবে বেশি সময় ধরে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল উদ্বোধনের পরদিন থেকে যাত্রীরা মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন। শুরুতে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে এই ট্রেন। যাত্রীদের আগ্রহ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, “আমাদের দেশে মেট্রোরেল প্রথম। হঠাৎ একজন যাত্রী মেট্রোরেলের সেবা কীভাবে নিতে হয়, কীভাবে টিকেট কাটতে হয়, কীভাবে দরজা খোলে- এসব কিছু জানেন না। আমরা কিছু মানুষ নিয়ে ট্রায়াল করে দেখেছি, তাদের বলেছি- আপনারা এখন এমআরটির নির্দেশনা পড়ে পড়ে যান।
“কিন্তু দেখা গেছে- কেউ অর্ধেক পথে ঘোরেন, কেউ প্রথম দিকে থাকেন, আবার কেউ শেষের দিকে যান।এজন্য আমরা প্রথম দিকে এই মাথা থেকে ওই মাথা (উত্তরা থেকে আগারগাঁও) আর কোথাও থামব না।”
এক প্রশ্নের উত্তরে ছিদ্দিক বলেন, “মানুষ যখন মেট্রোরেলে চড়া থেকে শুরু করে সকল নিয়মকানুন মেনে চলায় অভ্যস্ত হবে, তখন থেকে আমরা রেল সংখ্যা এবং থামার স্টেশন সংখ্যা বাড়াব।”
শুরুতে অনভিজ্ঞ যাত্রীরা তাড়াতাড়ি ট্রেনে উঠতে বা নামতে গিয়ে যাতে দুর্ঘটনায় না পড়ে, সেজন্য যাত্রীদের ওঠানামার জন্য ১০ মিনিট করে ট্রেন থেমে থাকবে বলে জানান তিনি।