চট্টগ্রামে খুন হওয়া শিশু আয়াতের মৃতদেহের খণ্ডিত অংশের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে নগরীর আউটার রিং রোডের আকমল আলী ঘাট সংলগ্ন স্লুইচ গেইট এলাকায় ওই দেহখণ্ড পাওয়া যায় বলে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছেন, “কিছু অংশ পাওয়া গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।”
২৫ নভেম্বর পিবিআই জানিয়েছিল, ‘মুক্তিপণের’ জন্য শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণ করে খুন করেছে তাদের এক ভাড়াটিয়ার ১৯ বছরের ছেলে আবীর আলী। শিশুটিকে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেয় সে।
যার কিছু অংশ আকমল আলী রোডের স্লুইচ গেইটের একটি নালায়, আর কিছু অংশ সাগরে ফেলার কথা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিল আবীর।
ওই দিন তাকে নিয়ে পিবিআই সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি এবং আয়াতের জুতা উদ্ধার করে। আর পরের রাতে আয়াতের বাবা নগরীর ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পিবিআই জানায়, মুক্তিপণের জন্য আয়াতকে অপহরণ করলেও কোথাও রাখার জায়গা না পেয়ে আয়াতকে খুন করার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন আবীর। তারপর তিনি আয়াতের বাবার কাছে টাকা দাবি করার পরিকল্পনা করেন। সেজন্য একটি মোবাইলও কিনেছিলেন। আর আগে রাস্তায় কুঁড়িয়ে পাওয়া একটি সিম তার সংগ্রহে রেখেছিলেন। কিন্তু সেটা সচল না থাকায় ফোন করতে পারেননি।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় শনিবার প্রথম দফায় দুই দিনের রিমান্ডে আবীরকে নিয়ে শিশু আয়াতের মরদেহের খণ্ডিত অংশের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পিবিআই। পরে সোমবার আবীরকে ফের সাত দিনের হেফাজতে নেয় তদন্ত সংস্থা।
এছাড়া সোমবার রাতে আবীরের বাবা, মা ও বোনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়।
গত ১৪ নভেম্বর পাঁচ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর ইপিজেড থানায় জিডি করে তার পরিবার। সন্ধান চেয়ে পোস্টার ও প্রচারপত্রও বিলি করা হয়। তার দাদা নাতনির সন্ধান চেয়ে পিবিআইয়ের কাছে আবেদন করেন। পরে পিবিআই তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবীরকে আটক করে।
আয়াত ইপিজেড থানার নয়ারহাট ওয়াছমুন্সী বাড়ি এলাকার সোহেল রানার মেয়ে। তাদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ভাড়া থাকে আবীরের পরিবার।