সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার লোকালয়ে বাঘের পায়ের ছাপ মেলায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পাশের সোনাতলা গ্রামবাসী বাঘের ছাপ দেখতে পেলে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. শামসুল আরেফিন জানান। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
পরে বনবিভাগ, ওয়াইল্ড টিম, টাইগার টিম (ভিটিআরটি), কমিউনিটি পেট্রোলিং (সিপিজি) গ্রুপের সদস্যসহ গ্রামবাসী অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে ওই এলাকায় বাঘের সন্ধানে তল্লাশি করে। তবে তারা কোনো বাঘের সন্ধান পায়নি।
শামসুল আরেফিন আরও বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামের বনজঙ্গল ও পরিত্যক্ত ঘরবাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে। বেশকিছু এলাকা নিয়ে রাতে বাঘটি বিচরণ করেছে। সবখানেই বাঘের পায়ের তাজা ছাপ পাওয়া গেছে। পায়ের ছাপ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, রাতেই বাঘটি সুন্দরবনে ফিরে গেছে।”
“তবে আবার বাঘ যাতে লোকালয়ে ফিরে মানুষের ক্ষতি না করতে পারে সেজন্য এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
এজন্য সুন্দরবনের বগী স্টেশন, তেড়াবেকা টহল ফাঁড়ি ও শরণখোলা স্টেশনের বনরক্ষীদের নদীতে টহলে জোরদার করা হয়েছে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।
সকাল থেকে বনবিভাগ ওই এলাকায় স্থানীয়দের সচেতন থাকতে মাইকিং করেছে। সবাইকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দিয়ে বনবিভাগ।
বন সুরক্ষায় নিয়োজিত কমিউনিটি পেট্রোল গ্রুপের (সিপিজি) সহসভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম সাচ্চু বলেন, “শুকিয়ে যাওয়া ভোলা নদী পার হয়ে বাঘটি সোনাতলা গ্রামে ঢুকে পড়ে। গ্রামের আবু ভদ্দর, আসলাম ভদ্দর, আব্দুল মালেক ও হারুন হাওলাদারের বাড়ির পুকুর পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছে বাঘটি। সকালে গ্রামবাসী ওইসব স্থানে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে বন বিভাগকে খবর দেয়।”
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, “শীত মৌসুমে সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলার ভোলা নদীতে পানি কমে গেছে। পানি কমে যাওয়ার কারণে বনের ভেতরে বাঘ নদীর পার হয়ে লোকালয়ে চলে আসে।”
“গভীর রাতে লোকালয়ে এসে আবার বনে ফিরে গেছে বলে ধারণা করছি।”