রোজায় বাড়তি সময় দোকান খোলা রাখতে চায় মালিক সমিতি


এফই অনলাইন ডেস্ক | Published: February 09, 2023 16:08:55 | Updated: February 09, 2023 18:25:35


এফই ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে এখন রাত ৮টার পর দোকান, মার্কেট, বিপণিবিতান বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও আসছে রমজান মাসে রাতে বেশি সময় দোকান খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে মালিক সমিতি।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সদস্যরা।

ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান টিপু সাংবাদিকদের বলেন, দোকান ব্যবসায়ীদের বেচা-বিক্রি হয় সাধারণত মাগরিবের নামাজের পর। সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে রাত ৮টায় দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

“দোকান ব্যবসায়ীদের বিষয়টি বিবেচনা করে ১৫ রমজান পর্যন্ত রাত ৮টার পরিবর্তে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং ১৫ রমজান এর পর থেকে ঈদুল ফিতরের চাঁদ রাত পর্যন্ত ক্রেতার উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে দোকান খোলা রাখার দাবি জানাচ্ছি।“

দোকান খোলা রাখার সময় বাড়ানোর পাশাপাশি ভ্যাট আদায়ের পদ্ধতি সহজ করা ও ভ্যাট আদায়ে হয়রানি এবং ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান বন্ধের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরিফুর রহমান বলেন, “দোকান ব্যবসায়ী কোনো পণ্য উৎপাদন বা আমদানি করে না, ৫৪ লাখ দোকান ব্যবসায়ীর পক্ষে কোনো সিন্ডিকেট সম্ভব নয় বা তারা সেটা করতে পারে না। সিন্ডিকেট পরিচালনা করে দেশের গুটিকয়েক সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ জন পণ্য আমদানিকারক, উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান।

“তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান শাস্তি বা অভিযান পরিচালিত হলে দ্রব্যমূল্যের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আমরা মনে করি।”

দোকান মালিক সমিতির অন্য দাবিগুলো হল-

>> ভ্যাট আইন সহজ করে পাঁচটি খাতা বা বহি সংরক্ষণের পরিবর্তে মোট বিক্রয় মূল্যের নিট মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান করা।

>> ডিলার, পরিবেশক, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের পণ্য মজুদের নীতিমালা প্রণয়ন করা।

>> পাইকারি ও খুচরা বিক্রির নিট মুনাফার হার নির্ধারণে দোকান ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা।

গত বছরের জুনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর থেকে দোকান, বিপণিবিতান ও কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক চিঠিতে তখন বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে পদক্ষপে গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে সেই চিঠি পাঠিয়ে সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল।

Share if you like