Loading...
The Financial Express

রেমিটেন্স ৭ মাসে সর্বনিম্ন

| Updated: October 03, 2022 13:45:36


রেমিটেন্স ৭ মাসে সর্বনিম্ন

সদ্য শেষ হওয়া সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স এসেছে ১৫৩ কোটি ডলার, যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সাম্প্রতিক সময়ে একক মাস হিসেবে এর চেয়ে কম রেমিটেন্স এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসে ১৪৯ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আসা রেমিটেন্সের পরিমাণ গত বছরের এই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স এসেছিল ১৭২ কোটি ডলার।

তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আসা রেমিটেন্সের পরিমাণ গত অর্থবছরের এই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি।

ফলে রেমিটেন্স প্রবাহের ধারা চলতি অর্থবছরে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্থারা।

তারা বলছেন, একক মাস হিসেবে সেপ্টেম্বরে কিছুটা কমলেও অর্থবছর শেষে মুদ্রানীতিতে নেওয়া ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে রেমিটেন্স বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের পাঠানো অর্থ। মূলত এর উপর ভিত্তি করেই দেশের রিজার্ভ সমৃদ্ধ হয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স প্রবাহের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, গত তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রবাসীরা মোট ৫৬৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন দেশে। গত অর্থবছরের এই সময়ে এসেছিল ৫৪০ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।

এ হিসাবে ২৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বেশি রেমিটেন্স এসেছে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে।

রেমিটেন্সে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে শুরু হয়েছিল চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস। দ্বিতীয় মাস আগস্টেও প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ কারণে বাড়তে থাকা আমদানি চাপের বিপরীতে রপ্তানি ও রেমিটেন্স সে হারে না বাড়ায় গত অর্থবছরে ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ ঋণাত্মক ধারায় পার করে প্রবাসীদের পাঠানো এ আয়।

প্রবৃদ্ধিতে ঋণাত্বক হলেও স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিটেন্স এসেছিল গত অর্থবছরে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে ২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছিল।

রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে নগদ প্রণোদনার হার ২ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করাসহ একাধিক সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। গত ২ জুলাই এক দিনে যে কোনো অঙ্কের অর্থ পাঠানোর সুযোগও দেওয়া হয়েছিল। তুলে দেওয়া হয় রেমিটেন্স পাঠাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বাধ্যবাধকতাও।

রেমিটেন্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয়ও সেপ্টেম্বর মাসে কমেছে।

এই দুইয়ের প্রভাবে চাপ পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও। গত বছরে ৪৮ বিলিয়নে উঠা রিজার্ভের পরিমাণ কমে গত ২৯ সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

Share if you like

Filter By Topic