রাশিয়ার এক সামরিক প্রশিক্ষণ স্থলে বন্দুকধারীদের হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শনিবার ইউক্রেইন সীমান্তের কাছে বেলগোরোদ অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ইউক্রেইনে যুদ্ধে যেতে স্বেচ্ছায় যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ চলাকালে দুই ব্যক্তি নির্বিচারে গুলি চালায়, বলেছে রাশিয়ার রাষ্ট্র-মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা আরআইএ।
দুই বন্দুকধারী পাল্টা গুলিতে নিহত হয়েছে। তারা দুজনই সাবেক এক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের নাগরিক বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলেনি তারা।
এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছে।
“স্বেচ্ছায় (ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে) বিশেষ সামরিক অভিযানে অংশ নিতে আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা ব্যক্তিদের আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ চলাকালে সন্ত্রাসীরা হালকা অস্ত্র নিয়ে ওই ইউনিটের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়।
“এর ফলে ১১ জন নিহত হয়েছে। আহত আরও ১৫ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,” প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে আরআইএ।
সেপ্টেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগে সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলক কাজে ছিল রিজার্ভে থাকা এমন ৩ লাখ ব্যক্তিকে ইউক্রেইনে যুদ্ধের জন্য ডেকে পাঠাতে নির্দেশ দেন।
তার এ নির্দেশ ইউক্রেইনজুড়ে তুমুল বিক্ষোভের জন্ম দেয়; সমন এড়াতে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাশিয়া ছেড়ে পালায় বলেও জানিয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো।
সৈন্য সমাবেশ বা মোবিলাইজেশনের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই সাইবেরিয়ায় একটি তালিকাভুক্তি কার্যালয়ে এক সামরিক নিয়োগকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
গত সপ্তাহে পুতিন বলেছেন, ঘোষণা দেওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে ২ লাখের বেশি বিভিন্ন প্রশিক্ষণস্থলে সমবেত হয়েছেন।
এ কারণে নতুন করে আর সৈন্য সমাবেশের প্রয়োজন পড়বে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।