পরিবেশ আন্দোলনের তরুণ তারকা গ্রেটা থুনবার্গ রাজনীতিতে জড়াতে চান না; কারণ, তার ভাষায় ওই জগৎ বড্ড ‘বিষাক্ত’। বিবিসি’র বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এ খবর জানিয়েছে।
কার্বন নিঃসরণ কমানোর দাবিতে ক্লাস বর্জন করে ২০১৮ সালে সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে অবস্থান নিয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন গ্রেটা থুনবার্গ, তখন তার বয়স মাত্র ১৫।
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তার মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে জলবায়ু রক্ষার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে পরিবেশ কর্মী হিসেবে বিশ্বের অন্যতম নাম হয়ে উঠেছেন ১৯ বছর বয়সী এই তরুণী।
বিবিসিকে তিনি বলছেন, পরিবর্তন তখনই আসবে যখন বাইরে থেকে জনগণের যথেষ্ট চাপ তৈরি করা সম্ভব হবে, আর সেই চাপটাই তারা তৈরি করছেন।
তবে বিশ্বব্যাপী এ আন্দোলনের নেতাও হতে চান না থুনবার্গ। তার ভাষায়, এটা অনেক ‘বড় দায়িত্ব’।
“আপনি যদি মনে করেন বিশ্বের সকল আশা-ভরসার ভার এই ক্লান্ত অবসন্ন তরুণদের কাঁধে চাপিয়ে দেবেন, তাহলে আমি বলব, সেটা খুব ভালো কিছু হবে না।”
আগামী ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৭) বসছে মিশরে, এবার সেখানে থাকছেন না থুনবার্গ।
তার ভাষ্য, “সেখানে আমার থোকা জরুরি নয়। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অনেক দেশের অনেকে সেখানে থাকবেন। আমি মনে করি, তাদের বক্তব্যই সেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে কটূ কথা বললেও তা খুব বেশি গায়ে মাখেন না থুনবার্গ। তবে বিবিসিকে তিনি বলেছেন, “সবথেকে বেশি বিরক্ত হই যখন আমাকে নিয়ে মিথ্যা ছড়ায়; যেমন অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব – আমি তো মিথ্যা বলতে পারি না। অন্যরা যখন আমার সম্পর্কে মিথ্যা বলে, মনে মনে বলি, ‘না- এটা করো না’।”
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মত কয়েকজন বিশ্ব নেতাও টুইটারে থুনবার্গকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেছেন। থুনবার্গ সাধারণত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নিজের টুইটার প্রোফাইল পরিবর্তন করে।
“আমার শুধু মনে হয়, এটা আসলেই মজার। বলতে চাইছি, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিরা যখন কিশোর-কিশোরীদের ভয় পায়, হাস্যকর না?”
থুনবার্গ সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কয়েক ডজন বিশেষজ্ঞের প্রবন্ধের একটি সঙ্কলন তৈরির কাজ করেছেন। তার প্রত্যাশা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন, তাদের কাজে লাগবে ওই বই।