মাহতাব উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের এক বছরের বেশি সময় পর নতুন সিইও পেল মোবাইল ফোন অপারেটর রবি, সেই পদে যোগ দিয়েছেন রাজীব শেঠি, যিনি আট বছর আগে গ্রামীণ ফোনে একই দায়িত্ব সামলে গেছেন।
সর্বশেষ মিয়ানমারের শীর্ষ অপারেটর উরিডুর সিইও ছিলেন রাজীব শেঠি, তার আগে এয়ারটেল আফ্রিকার চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন।
তকে রবির সিইও হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের যৌথ ভারপ্রাপ্ত গ্রুপ সিইও হানস বিজয়াসুরিয়া ও বিবেক সুদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আজিয়াটা গ্রুপ ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে রবি পরিবারে রাজীবকে স্বাগত জানাই।”
রাজীব শেঠি রবিতে দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছেন এম রিয়াজ রশীদের কাছ থেকে। ২০২১ সালের অগাস্টে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ রবির সিইওর পদ ছাড়ার পর থেকে চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার রশীদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব সামলে আসছিলেন। এখন থেকে তিনি নিজের পুরনো দায়িত্বই পালন করবেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে রবি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
হানস বিজয়াসুরিয়া ও বিবেক সুদ তাদের বিবৃতিতে বলেন, “ফোরজি সেবা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনের দিক থেকে বর্তমানে অগ্রণী অবস্থানে থাকা রবি পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার জন্য সামগ্রিকভাবে প্রস্তুত। এমন সময় রবিতে রাজীবের মতো বলিষ্ঠ ও দক্ষ নেতৃত্ব পেয়ে আমরা আনন্দিত।
“বাংলাদশে কার্যক্রম পরিচালনার ২৫ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে রবি। এই মুহূর্তে রাজীবের নেতৃত্ব বাংলাদেশের বাজারে রবির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে নতুন মাত্রা দেবে।”
রবির নতুন সিইও রাজীব শেঠি বলেন, “বছরের পর বছর ধরে উদ্ভাবনী শক্তির বদৌলতে সত্যিকার অর্থে একটি ডিজিটাল টেলকোতে রূপান্তরিত হয়েছে রবি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই উদ্ভাবনই মূল শক্তি যা রবির কাজের সংস্কৃতিতে মিশে গেছে।
“টিম রবির সহায়তায় আগামী দিনগুলোতে আমরা বাজারে নিজেদের অবস্থান আরো সৃদৃঢ় করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।”
রবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্টার্টআপ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ রাজীব শেঠি বৈচিত্র্যময় ও চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে দায়িত্ব পালন করেছেন ‘সাফল্যের সাথে’।
লখনৌয়ের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে মার্কেটিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড অপারেশনস-এ এমবিএ করা শেঠি ভোডাফোন, এইচপি, হাচিসন টেলিকম ও এশিয়া পেইন্টসের মতো কোম্পানিতে নেতৃত্বস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৪ সালে গ্রামীণ ফোনের সিইও হয়ে প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন রাজীব শেঠি। দুই বছর তিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন।