একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেত্রকোণার আল-বদর কমান্ডার খলিলুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে।
ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
পলাতক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সময় নেত্রকোণার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণসহ যুদ্ধাপরাধের পাঁচ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল এ মামলায়। রায়ে সবগুলো অভিযোগেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে চারটি অভিযোগে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং একটি অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।
যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১৮ জুলাই এ মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়েছিল।
২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয় প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থা। সে সময় আসামি ছিলেন ৫ জন। তাদের মধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অপর চার আসামি নেত্রকোনার দুর্গাপূর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের আশক আলী এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের মো. শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
সে সময় চার আসামির মধ্যে খলিলুর রহমান পলাতক ছিলেন। বিচার চলাকালে কারাগারে থাকা তিন আসামিও মারা যান বিভিন্ন সময়ে। ফলে মঙ্গলবার কেবল খলিলেরই রায় হল।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, খলিলুর রহমান ১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আল-বদর বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চণ্ডিগড় ইউনিয়নে আল-বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। পরে তিনি এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।