Loading...
The Financial Express

মেট্রোরেলের উদ্বোধনে খুললো নতুন যুগের দুয়ার

| Updated: December 28, 2022 17:49:31


মেট্রোরেলের উদ্বোধনে খুললো নতুন যুগের দুয়ার

ঢাকা শহরের চিরচেনা যানজট এড়াতে সাড়ে ছয় বছর আগে উত্তরায় দেশের প্রথম মেট্রোরেলের যে নির্মাণযজ্ঞ শুরু হয়েছিল, উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তা পরিণতি পেল ২০২২ সালের শেষে এসে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দেশের প্রথম এ বৈদ্যুতিক গণপরিবহনের উদ্বোধন করেন, যার মধ্যে দিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।

বেলা ১১টায় দিয়াবাড়ি খেলার মাঠে তৈরি উদ্বোধনী মঞ্চে মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান। এরপর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুনাজাত করেন।

মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম রওশন আরা মান্নান, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবীব আহসান, সচিব এ বিএম আমিনুল্লা নূরী, প্রকল্প পরিচালক আফতাব উদ্দিন এবং ডিএমসিটিএল এর এমডি এম এ এন ছিদ্দিক।

শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশন চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছে সরকার। বুধবার উদ্বোধন হলেও সাধারণ মানুষ স্বপ্নের এই রেলে চড়তে পারবেন পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে। নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে মেট্রোরেলে সুশৃঙ্খলভাবে চড়তে হবে তাদের।

মেট্রোরেলের প্রতি কিলোমিটারে জন্য ৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে সরকার। সেই হিসাবে দিয়াবাড়ির উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রত্যেক যাত্রীকে গুণতে হবে ৬০ টাকা করে।

বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশে ইতোমধ্যে মানুষকে মেট্রোরেলে সেবা দেওয়া হচ্ছে। কেবল চীনেই ৪৬টি মেট্রো সিস্টেম রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে রয়েছে ১৫টি করে। অবশেষে বাংলাদেশও সেই ক্লাবে যোগ দিয়েছে।

২০১৬ সালে ২৬ জুন এমআরটি-৬ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ পথ পরিক্রমা পেরিয়ে সাড়ে ছয় বছর পর তিনিই এ নতুন বাহন উদ্বোধন করলেন।

৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায়। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এই লাইনের নাম দেওয়া হয়েছে এমআরটি-৬।

সূচি ধরে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ ঢাকা যানজটের যন্ত্রণা অনেকটাই লাঘব হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

Share if you like

Filter By Topic