আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের সার্বিক পরিস্থিতি জানা এবং সামনে গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করছে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে এই সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি স্বাগত বক্তব্যে ডিসি-এসপিদের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ও স্থানীয় সরকার গঠনের গুরুত্ব অনুধাবনের কথা বলেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
তিনি বলেন, “পদাধিকারবলে আপনারা জনগণের নিকট সান্নিধ্যে থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ও স্থানীয় সরকার গঠনের গুরুত্ব আপনারা নিশ্চয়ই অনুধাবন করে থাকেন।
“এ সভার উদ্দেশ্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সব নির্বাচন বিষয়ে আপনাদের এবং কমিশনের সমন্বিত দায়িত্ব, ভূমিকা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করা।”
সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের এ সভায় ডাকা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক রয়েছেন সভায়।
এই সভা নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান আগে বলেছিলেন, “(ইসি) সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মাঠের রিপোর্ট বুঝতে চায়। জেলা পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের চ্যালেঞ্জগুলো জানতে চায়।
“আমরা যদি সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটু আগে থেকে সব স্তরে কাজ শুরু করি এবং নজরদারি রাখতে পারি, তাহলে নির্বাচন পরিচালনায় সাফল্য নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।”
ইতোমধ্যে ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠেয গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন এবং ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন’ নিয়ে সিইসির কাছে অভিযোগ করেছে জাতীয় পর্টি।
এমন পরিস্থিতিতে আচরণবিধি প্রতিপালনে ইসির কঠোর অবস্থানের বিষয়টি কর্মকর্তাদের দেবে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর এর আগে বলেছিলেন, “আমাদের কড়া নির্দেশ আমরা লিখিতভাবে দিয়েছি। শনিবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বৈঠকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে একেবারে সামনাসামনি।”
কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন ইসির অধীনে ২০২৩ সালের শেষে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন হবে। এর আগে স্থানীয় সরকারের অনেক নির্বাচনও রয়েছে।
রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে ইভিএমে দেড়শ আসনে ভোটের সিদ্ধান্তও রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপ করলেও বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল ইসির আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে।