মরক্কোর সমর্থনে আরব বিশ্বে উৎসবের আবহ


এফই অনলাইন ডেস্ক | Published: December 14, 2022 17:03:28 | Updated: December 14, 2022 20:31:58


মরক্কোর সমর্থনে আরব বিশ্বে উৎসবের আবহ

কাতার বিশ্বকাপে যত সময় গড়িয়েছে, নিজ দেশের গণ্ডি ছাপিয়ে মরক্কো তত যেন হয়ে উঠেছে আফ্রিকা ও আরব বিশ্বের প্রতিনিধি। বিশেষ করে আরব দেশগুলোতে দেশটির স্বপ্নময় পথচলা নিয়ে উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই, কারণ এর আগে যে কোনো আরর দেশ যে কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্তও যেতে পারেনি।

ফাইলালে যাওয়ার লড়াইয়ে তাই তারাও মরক্কানদের মতো সমান উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হাকিমি-জিয়াশদের সমর্থন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ১টায় ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে মরক্কো। প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্ব সেরার মঞ্চে এবার শেষ চারে খেলছে তারা।

এই ম্যাচকে সামনে রেখে মরক্কোর রাজধানী রাবাতে জাতীয় পতাকা ও দলীয় জার্সি বিক্রি হচ্ছে বেশ। বিভিন্ন রাস্তায় শোভা পাচ্ছে দলটির খেলোয়াড়দের বিলবোর্ড। তবে তাদের নিয়ে উচ্ছ্বাসের এই ধারা কেবল নিজ দেশেই নয়, একইভাবে তা বইছে অন্যান্য আরব দেশগুলোতেও।

মধ্যপ্রাচ্যে হওয়া প্রথম বিশ্বকাপের কারণে মরক্কোর সমর্থন শুরু থেকেই বেশ জোরাল ছিল। দলটির দুর্দান্ত সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্বকাপ চলাকালীন ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে খেলোয়াড়দের মাঠে ছবি তোলার মাধ্যমে আরব বিশ্বে উত্তর আফ্রিকার দেশটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।

ক্রোয়েশিয়া ও বেলজিয়ামকে পেছনে ফেলে গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে চমকের শুরুটা করেছিল মরক্কো। এরপর শেষ ষোলোয় স্পেন ও কোয়ার্টার-ফাইনালে পর্তুগালকে বিদায় করে ইতিহাস গড়ে দলটি।খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে ও মাঠের বাইরে ম্যাচে মরক্কোর সমর্থন নিশ্চিতভাবে বেড়ে যাবে অনেকটাই। এরই মধ্যে এক ডজনের বেশি ফ্লাইটে মরক্কো থেকে কাতারে পাড়ি জমিয়েছেন ভক্তরা।

মরক্কোকে সমর্থন জানাতে অন্য দেশগুলোতে দেশটির পতাকা ও জার্সির চাহিদা এখন অনেক বেড়ে গেছে। 

মিশরের কায়রোয় পতাকা বিক্রেতা করিম মোহাম্মদ রয়টার্সকে বলেন, চাহিদার তুলনায় মরক্কোর পতাকারা যোগান দিতে তার হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।

“মরক্কোর পতাকা কেনার জন্য একটা বড় রকমের চাহিদা রয়েছে, কারণ তারা সেমি-ফাইনালে পৌঁছানো প্রথম আরব দেশ। চাহিদা এতটাই বড় যে এগুলোর স্টক নেই।”

ফিলিস্তিনের গাজার ইয়াদ আবু তেইর মরক্কোর পতাকা সংগ্রহ করার জন্য বের হয়েছিলেন। তার মতে, জিয়াশ-হাকিমিরা এখন পুরো আরব বিশ্বের প্রতিনিধি।

“মরক্কোর বিজয় সমগ্র আরব জাতির জন্য একটি জয় এবং আমাদের সব আরবদের এতে অংশগ্রহণ করা উচিত।”

গাজার পতাকা বিক্রেতা তারেক আবু দাইইয়েহ-এর বিশ্বাস, মরক্কো শিরোপা জিতলে ব্যবসায় তারও লাভ হবে।

“গাজা অবরুদ্ধ এবং আর্থিক অবস্থা কঠিন... আমরা আশা করি মরক্কো বিশ্বকাপ জিতলে বিক্রি বেড়ে যাবে।”

উন্মাদনা ছড়িয়ে পরেছে ইরাকেও। বাগদাদের প্রকৌশলী সালাম রাবিইয়া আশাবাদী, চূড়ান্ত সাফল্য পাবে মরক্কো।

“অনুরাগী হিসেবে এটি আমাদের দেখা সেরা আরব পারফরম্যান্স এবং দুর্দান্ত অর্জনও।”

মরক্কোকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন লিবিয়ার নাগরিক মোহাম্মেদ আল-আনদাজ। তার আশা, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে দেশটি।

“আমরা আশা করি তারা ফ্রান্সকে হারিয়ে দেবে এবং শিরোপাও জিতবে। এটি একটি আরব এবং আফ্রিকান দল। সব আরব ও মুসলিমরা তাদের জন্য প্রার্থনা করছে এবং আমরা আশা করি আমাদের প্রার্থনা পূরণ হবে এবং মরক্কো জয়ী হবে।”

Share if you like