বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছেন তার মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা হারুন-অর রশীদ।
লাশ উদ্ধারের পর মাস গড়িয়ে গেলেও তদন্তে অগ্রগতি না দেখে ফারদিনের পরিবার ও তার সহপাঠীদের অসন্তোষের মধ্যে বুধবার এই ধারণা দেন তিনি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
হারুন বিকালে বলেন, “আপাত দৃষ্টিতে আমার কাছে মনে হচ্ছে, এটি একটি আত্মহত্যা। আমি ডাক্তারের (ময়নাতদন্তকারী) সঙ্গে কথা বলেছি, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট দেখেছি, সার্বিক দিক দেখে মনে হয়েছে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা।”
কী কারণে এই বুয়েটছাত্র আত্মহত্যা করতে পারেন, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে চাননি তিনি।
ফারদিন হত্যার ছায়াতদন্তে থাকা র্যাব এনিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকার মধ্যেই ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন একথা জানালেন।
ফারদিনের মৃত্যুর তদন্তে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’পাওয়া গেছে জানিয়ে র্যাব সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।
গত ৪ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন ফারদিন; বলে গিয়েছিলেন, পরদিন তার পরীক্ষা রয়েছে বলে রাতে বুয়েটের হলেই থাকবেন। পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরবেন।
কিন্তু পরদিন পরীক্ষায় তার অনুপস্থিত থাকার পর জেনে খোঁজাখুজি করে ছেলেকে না পেয়ে থানায় জিডি করেন ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা। তিন দিন পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে লাশ পাওয়া যায়।
নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক শেখ ফরহাদ বলেন, নিখোঁজ হওয়ার দিনই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন ফারদিন। তার মাথা ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ মৃত্যুর আগে শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ওই ছাত্র৷
ময়নাতদন্তে খুনের চিহ্ন পাওয়ার কথা চিকিৎসক জানানোর পর বিষয়টি তুমুল আলোচনা সৃষ্টি করে। এরপর ফারদিনের বাবা হত্যামামলা করলে তার তদন্তভার দেওয়া হয় ডিবিকে। আর র্যাব ছায়াতদন্ত করছে। তবে দুই সংস্থার ভিন্ন বক্তব্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে বলে সম্প্রতি বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছিল।
এর মধ্যে ফারদিনের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আমাতুল্লাহ বুশরাকে ডিবি গ্রেপ্তার করে। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।