ভারতের বিহার রাজ্যে বিষাক্ত মদপানে অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিহারের সারণ জেলার চাপড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ছয় বছর আগে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করার পর থেকে বিষাক্ত মদপানে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এই ঘটনা নিয়ে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) বিহারের সরকার ও রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালকের (ডিজিপি) প্রতি নোটিশ ইস্যু করেছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এপ্রিল, ২০১৬ থেকে বিহারে মদ বিক্রি ও পানে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, কিন্তু রাজ্য সরকার এ নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এনএইচআরসি গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গ্রহণ করেছে। প্রতিবেদনটিতে বিহারের সারণ জেলায় কিছু লোকের মৃত্যু বিষাক্ত মদপানে হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এনএইচআরসি বলেছে, যদি গণমাধ্যমের এসব প্রতিবেদন সত্য হয়ে থাকে তাহলে এ ঘটনা মানবাধিকারজনিত উদ্বেগ উত্থাপন করে।
মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, তারা বিহারের মুখ্য সচিব ও ডিজিপির প্রতি নোটিশ জারি করে ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছে। এতে পুলিশের দায়ের করা মামলার তথ্য, এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের চিকিৎসা বিষয়ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দেওয়া ক্ষতিপূরণের (যদি দেওয়া হয়ে থাকে) বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।
এই শোচনীয় ঘটনার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কমিশন তাও জানতে চেয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশ দেওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষাক্ত মদপানের এ ঘটনায় মৃতদের অধিকাংশই সারণের মারোদা থানার মাশরাখ, ইশুয়াপুর ও আমানুর গ্রামের।
পুলিশের সন্দেহ, গ্রামগুলোর বাসিন্দারা স্থানীয় একটি সাধারণ দোকান থেকে ওই মদ কিনেছিল। মৃতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, বহু লোক ওই দেশি মদ পান করেছিল।