ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন– মোহাম্মদ নুর উন নবী, মো. আফসার উদ্দিন রোমান, মো. আবু সাইদ সাজু, মো. স্বাধীন মিয়া ও মো. আব্দুস সালাম। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে ‘গুজব রটনার’ অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“কতিপয় ব্যক্তি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মনগড়া মিথ্যা তথ্য প্রচার করে দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি ডিবির সাইবার মনিটরিং টিমের নজরে এলে অধিকতর তদন্ত করে দেখা যায়, গ্রেপ্তার ওই পাঁচজনসহ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানরত স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতায় মনগড়া তথ্য উপাত্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচার করছে।”
হারুন বলেন, “ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। দেশবিরোধী চক্র সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাংক খাত নিয়ে আস্থার সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছিল। এই চক্রের মূল উদ্দেশ্য দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা।”
গ্রেপ্তাররা এস আলম গ্রুপসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানদের নামে ‘ব্যাংকিং সংক্রান্ত মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব’ছড়িয়ে আসছিল বলেও সংবাদ সম্মেলনে তথ্য দেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, “তারা প্রবাসীদের রেমিটেন্স না পাঠানোর বিষয়েও প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে, ব্যাংকে টাকা নাই– এরকম নানা গুজব রটানোর কাজে তারা জড়িত।"
এ ধরনের গুজবের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন পুলিশ কর্মকর্তা হারুন।
তিনি বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রচারে জড়িত ছিল বলে জানায়। সম্প্রতি এস আলম গ্রুপের ঋণ উত্তোলন নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারের পেছনে গ্রেপ্তাররা এবং বিদেশে অবস্থানরত কয়েকজনের হাত রয়েছে।”
তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা করা হয়েছে জানিয়ে হারুন বলেন, “তারা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত।”