পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-২ জানায়, সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের কিল্লারপুল এলাকা থেকে খন্দকার মো. ইউনুছ আলী ওরফে ইউনুছকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে তারা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজার রায় মাথায় নিয়ে গত দশ বছর ধরে পলাতক জীবন কাটাচ্ছিলেন ইউনূস।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধের মধ্যে সূত্রাপুরের বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন এসআই জালাল আহমেদ।
হত্যাকাণ্ডের তিন মাসের মধ্যে ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তাজুল ইসলাম।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় রায় আসে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ে ইউনুস যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেও পলাতক ছিলেন।
মামলাটি হাই কোর্টে গেলে ২০১৭ সালের ৬ অগাস্ট আটজনের মধ্যে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে উচ্চ আদালত। বাকি ছয়জনের মধ্যে চারজনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়; দুজন খালাস পান।
এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির দু’জন খালাস পান, অপর ১১ জনের যাবজ্জীবন বহাল থাকে। হাই কোর্টের রায়েও ইউনুসের যাবজ্জীবন সাজা বহাল থাকে। সে সময়ও তিনি পলাতক ছিলেন।
বিশ্বজিৎ হত্যার খবর ও ছবি আলোড়ন তোলে সে সময়ে। আসামিরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মী হওয়ায় সরকারকে সে সময় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।