চলমান বিশেষ অভিযানে তিন দিনে রাজধানীতে ৪৭২ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ঢাকায় গত বুধবার রাত ১২টা থেকে শুরু এ অভিযানেএ শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডিএমপি উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর, মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। পাশাপাশি আদালতের পরোয়ানাভুক্ত আসামিও আছে।
রাজধানীর বিভিন্ন মেস, হোটেলগুলোতে এ অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এর বাইরেও বিভিন্ন বাড়ি বা অন্য কোনো তথ্য এলে সেখানেও অভিযান চালাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারা দেশের ইউনিটগুলোকে বিশেষ অভিযানের নির্দেশনাসহ চিঠি দেওয়া হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক হাসানুজ্জামানের সই থাকা চিঠিতে বলা হয়েছিল, পুরান ঢাকার সিএমএম আদালত এলাকায় পুলিশের হেফাজত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনা, মহান বিজয় দিবস, বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে চলমান অভিযানের পাশাপাশি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এরই প্রেক্ষাপটে ডিএমপিই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে বলে উপকমিশনার ফারুক হোসেনের ভাষ্য।
তিনি বলেন, “ঢাকার প্রতিটি থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন দিবস রয়েছে এসব দিবসের গুরুত্ব বিবেচনা করে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।”
বিশেষ অভিযানের বাইরে অন্য সময়ে ডিএমপিতে গড়ে শুধু মাদক মামলায় অন্তত একশ জন গ্রেপ্তার হয়ে থাকে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাক্য বিনিময় চলছে বেশ কয়েকদিন ধরে। এই অবস্থার মধ্যে ১৫ দিনের বিশেষ অভিযানের কর্মসূচির ঘোষণা আসে।
আর বিভাগীয় সমাবেশগুলোকে কেন্দ্র করে কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি করে আসছে বলে দাবি বিএনপির।
গত ৩০ নভেম্বর রাত ১২টার পর থেকে ৩ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৭২ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক বলেন, “এই ৪৭২ জনের মধ্যে মাদক মামলা ছাড়াও আদালত থেকে জারি করা ওয়ারেন্টের আসামিও রয়েছে।” খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।