সংসদ সদস্য, আমলাসহ যাদের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার, বাড়ি থাকার যে খবর সংবাদ মাধ্যমে আসছে, তা তদন্ত করে সংসদে অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এই দাবি করেন তিনি।
চুন্নু বলেন, “ইদানিং পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লক্ষ্য করছি, টাকা পাচার ও বিদেশে বাড়িঘর, ফ্ল্যাট কেনার কিছু নিউজ আসছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
“পররাষ্ট্র সচিব সরকারের কনসার্ন মিনিস্ট্রির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যারা আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে থাকে তারা এদেশের প্রপার্টি বিক্রি করে টাকা নিয়ে যাচ্ছে শত শত কোটি টাকা। সেটা বৈধ পথে নিচ্ছে না।”
এর তদন্ত দাবি করে এই সংসদ সদস্য বলেন, “পররাষ্ট্র সচিব এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যারা ইউরোপ-আমেরিকায় থাকেন, তারা তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে যদি লিগ্যাল ওয়েতে নেওয়া যায় নিক, আপত্তি নেই।
“কিন্তু ইললিগ্যাল ওয়েতে (অবৈধ পথে) এদেশ থেকে নিচ্ছে সেটা তো ডলারে বা বৈদেশিক মুদ্রায়। সেটা কীভাবে নিচ্ছে? কেন নিচ্ছে? এটা দেখার জন্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অথবা অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিশ্চয়ই কাজ করে। কোন পর্যায়ে গেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন।”
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং একজন সংসদ সদস্যের আমেরিকায় বাড়ি থাকার খবর সংবাদ মাধ্যমে দেখার কথা জানিয়ে চুন্নু বলেন, “আমি সরকারের কাছে, অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, যেসব নিউজ আসছে এসব নিউজের সত্যতা আছে কি না? কারণ, আমাদের ফরেন মিনিস্টার এর আগে বলেছিলেন, কানাডায় বেগম পাড়ায় যেসব বাড়ি করেছে এরম ধ্যে আমলা আছে।
“এসব জিনিসের উপর একটা তদন্ত হওয়া উচিৎ। এগুলোর সুরাহা হওয়া উচিৎ। কারণ, এসব জিনিস নিয়ে সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ন হবে, সংসদ সদস্য হিসেবে আমাদেরও ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়। দেশের মানুষের কাছে ভুলবার্তা পৌঁছে যে একজন সংসদ সদস্য, মন্ত্রী হলে শত শত কোটি টাকা আর্ন করে, বিদেশে বাড়িঘর করে।”
অর্থমন্ত্রীর মুখ খোলা উচিৎ মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, “তিনি (অর্থমন্ত্রী) তার ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, এগুলো কীভাবে কী হচ্ছে, তদন্ত করে এ বিষয়ে স্পষ্ট একটা বক্তব্য দেওয়ার দাবি রাখছি।“