Loading...
The Financial Express

বিচারবহির্ভূত হত্যা কমাতে র‌্যাবের কাজে উন্নতি দেখছেন ডনাল্ড লু

| Updated: January 18, 2023 17:03:56


বিচারবহির্ভূত হত্যা কমাতে র‌্যাবের কাজে উন্নতি দেখছেন ডনাল্ড লু

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বছর বাদে বিচারবহির্ভূত হত্যা কমাতে র‌্যাবের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনাল্ড লু।

রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবকে নিয়ে প্রশংসা ঝরে লুর কণ্ঠে।

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‌্যাবসহ এই বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে সাত কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

এরপর বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া মেলেনি। লুর সঙ্গে বৈঠকেও বিষয়টি তুলবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন মোমেন।

র‌্যাবের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে লু বলেন, “আপনারা যদি চলতি সপ্তাহে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন দেখে থাকেন, র‌্যাবের দ্বারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমানোর অসামান্য অগ্রগতির বিষয়টি সেখানে উঠে এসেছে, আমরাও তা দেখছি।

“এটা অসাধারণ কাজ। এটা দেখিয়েছে যে, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান রেখেও র‌্যাব সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে সক্ষম।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষিক বৈঠক করেন লু।

তাদের তিনজনই বলেন, লুর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ‘খোলামেলা’ আলোচনা হয়েছে।

ডনাল্ড লুও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যদের সঙ্গে ‘খুব আন্তরিক ও খোলামেলা’ আলোচনা তিনি করেছেন।

“যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে যে, কোনো সমস্যা দেখলে আমরা বলব ও কোথাও পরামর্শ দেওয়ার থাকলে আমরা দেব; কথা বলার স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে আমরা দাঁড়াব। এবং আমরা বাংলাদেশে আমাদের অংশদীরদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে চাই।”

নিজের বক্তব্যের শুরুতে ডনাল্ড লু বাংলায় সালাম দিয়ে বলেন, “মনোমুগ্ধকর নদী বা সৈকত এবং অতিথিপরায়ণ মানুষের দেশ বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে আমি আনন্দিত।

“আমি এখানে এসেছি আমাদের দুদেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে, যখন বর্তমান বিশ্ব শান্তি এবং নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম জন্য করে চলেছে।”

দুপক্ষের মধ্যে ‘খুব গঠনমূলক’ আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “আমরা খুশি যে, আমরা মোটামুটি ঐকমত্যে আছি। এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো দিনের প্রতীক্ষায় আছি।

“আমাদের যে সম্পৃক্ততা এটা খুব কাজের। এবং এর ফলে আমাদের মধ্যে যদি কোনো ধরনের কোনো প্রশ্ন থাকে, সেগুলো আমরা আলোচনার মধ্যে সমাধান করব।”


Share if you like

Filter By Topic