ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছেন, বিএনপির সমাবেশ থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা করা হয়েছিল।
সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। খবর বাসসের।
হারুন অর রশিদ বলেন, বিচারপতি মানিকের উপর হামলা ও তার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি, বিচারপতি মানিকের গাড়ি যাওয়ার সময় রাস্তাটি ফাঁকাই ছিল। বিএনপির সমাবেশ থেকে তার উপর হামলা করা হয়। তবে এ বিষয়ে আমরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করছি এবং তদন্ত করছি। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. আব্দুল মমিন, মো. রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ, মো. সাব্বির, মো. চাঁন মোল্লা এবং আরিফুল ইসলাম।
রোববার ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিম।
তাদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল ফোন, ১৯টি সিম ও হ্যাকিং কাজে ব্যবহৃত একাধিক ইমো (রসড়) আইডি জব্দ করা হয়।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কাতার প্রবাসীর ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বাংলাদেশে অবস্থিত তার ভাইয়ের কাছ থেকে তিন দফায় ৬৫ হাজার টাকা নেয় একটি চক্র। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি ডিবি পুলিশের সহায়তা নেন। গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনের নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা প্রধান বলেন, এরা মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ইমো অ্যাকাউন্ট টার্গেট করে হ্যাকিংয়ের ফাঁদ পাতে। পরবর্তী সময়ে দেশে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনের ইমো নাম্বারে অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার কথা বলে মোটা অংকের টাকা চায়। এভাবে ৫০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আর কীভাবে হ্যাকিং করতে হয়; কীভাবে মানুষকে মিষ্টি কথায় ভোলাতে হয়; সে বিষয়ে তারা ট্রেনিং নিয়ে থাকে।