বিএনপিকে আগুন-সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, তাদের রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়া হলো এ দেশের মানুষের এক দফা দাবি।
শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ ব্যানারে বিএনপি-জামায়াতের মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানুষ পোড়ানো, অগ্নি-সন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধন হয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ায়, প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে। তাদেরকে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হবে। এটিই হচ্ছে এই দেশের মানুষের এক দফা দাবি।
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার নির্দেশনায়, ফখরুলদের (বিএনপি মহাসচিন মির্জা ফখরুল) পরিচালনায় ও অর্থায়নে সেই অগ্নিসন্ত্রাস বাংলাদেশে পরিচালনা করা হয়েছিল। পাঁচ শতাধিক মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। অগ্নিদগ্ধ হয়েছে তিন হাজারের বেশি মানুষ।
“এমনকি তাদের এই আগুন থেকে অবুঝ পশুপাখি এবং গাছপালাও রক্ষা পায়নি। এরা মানুষের শত্রু, পশুপাখির শত্রু, প্রকৃতির শত্রু।”
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা অগুন-সন্ত্রাসী। আজ তারা সভা সমাবেশের অধিকারের কথা বলে। অধিকার দেওয়া হয়েছে বলেই দেশব্যাপী তারা সমাবেশ করেছে।
“তারা নয়া পল্টনে সমাবেশ করবে। আর বোমা পাওয়া গেছে পার্টি অফিসে। সমাবেশের ডাক দিয়েছে ১০ তারিখ, তারা সমাবেশ শুরু করেছে ৭ তারিখ। পুলিশ যখন তাদের সরে যেতে বলেছে তখন পুলিশের উপর হামলা করেছে।”
ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে নাকি সমাবেশে বিএনপি ১০ দফা দাবি দেবে। দেশের মানুষের এক দফা দাবি, যারা সন্ত্রাস করে তাদের বিতাড়িত করতে হবে।
“যারা অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুম দিয়েছেন তাদেরও বিচার করতে হবে। রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।”
মানবন্ধনে আওয়ামী লীগের সভাপতিণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান বলেন, বিএনপি-জামায়াত পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ মেরেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের হুকুমদাতা ছিলেন খালেদা জিয়া।
“বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে সমাবেশ করছে। তারা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে চায়। আমি সকলকে বলতে চাই, আগামী নির্বাচনে আবার দেশকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, “মানবাধিকার দিবসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার যারা, তাদের আমরা এখানে দেখছি। আমরা তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই।
“জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা (বিএনপি) নির্বাচন চায় না, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগের পক্ষের শক্তি একত্রে থাকলে কোনো শক্তি দেশের অগ্রগতি রুখতে পারবে না।”
‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সায়েদুল হক সুমনসহ ২০১৪/১৫ সালে ‘বিএনপির আন্দোলনের’ সময় আহত ও নিহতদের স্বজনরা বক্তব্য দেন।