বাগেরহাটের কচুয়ায় স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে ডাকাতরা।
কচুয়া থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজরাখালী গ্রামের গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি ও তার ছোট ভাই সুলতান আলমের বাড়িতে সোমবার গভীর রাতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক। আর তার ছোট ভাই সুলতান আলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক। তারা দুই ভাই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদার।
সুলতান আলম ওরফে আলম বালি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোমবার রাত ২টা ৫ মিনিটে মুখোশধারী সশস্ত্র সাতজনের একটি ডাকাত দল আমার একতলা বাড়ির গ্রিল কেটে প্রবেশ করে। তারা আমার ঘরে ঢুকে আমার নাম ধরে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। ডাকাতরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওড়না ও গামছা দিয়ে আমাকে, আমার স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ের হাত পা বেঁধে ফেলে।
“পরে তারা আলমারির চাবি নিয়ে নগদ ১১ লাখ টাকা ও ১২ ভরি সোনার গয়না ও তিনটা মোবাইল ফোনসেট নিয়ে পাশে থাকা আমার বড় ভাইয়ের ঘরে যায়। সেখানে একইভাবে বড় ভাই, তার স্ত্রী ও ছেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৩০ ভরি স্বর্ণের গহনা লুট করে পালিয়ে যায়।”
ডাকাতরা চলে যাওয়ার পরপরই ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে রাতেই তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলে তিনি জানান।
এ আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, “আমরা দুইভাই ঠিকাদারী করি। শ্রমিকদের বেতন দেওযার জন্য সব সময় বাড়িতে কমবেশি টাকা রাখতে হয়।
“ডাকাত দল আমাদের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখে। তা না হলে তারা আমার ঘরে ঢুকে নাম ধরে ডাকবে কেন? নাম ধরে ডাকায় আমি অবাক হয়েছি।“
ওসি রবিউল বলেন, ডাকাতদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।