বাংলাদেশে আর কোনোদিন দুর্ভিক্ষ আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান।
তিনি বলেন, “দুর্ভিক্ষ শুধুমাত্র উৎপাদনের জন্য হয় না, উৎপাদনহীনতার জন্যও হয় না। মানুষের যখন আয়-রোজগার থাকে না, কোনোকিছু কেনার সক্ষমতা থাকে না তখনই দুর্ভিক্ষ হয়।”
অতিউর আরও বলেন, “দেশে বিপুল পরিমাণ ধান-গম উৎপাদন হচ্ছে, সবজি হচ্ছে, আলু হচ্ছে, নার্সারি হচ্ছে, ফুলের গাছ হচ্ছে, গবাদিপশু পালন হচ্ছে। সুতরাং বহুমাত্রিক এদেশে মানুষের আয়-রোজগার বেড়েছে। এখন একজন দিনমজুর ৫০০-৬০০ টাকা পায়। এতে বোঝা যায়, অর্থনীতিতে বাংলাদেশের একটা ভরসাস্থল আছে।”
শুক্রবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আতিউর রহমান এসব কথা বলেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
নগর ভবনে গ্রিনপ্লাজায় দেশবরেণ্য ছয় গুণীজনকে সংবর্ধনা দেয় সিটি করপোরেশন। তারা হলেন- আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, সাংবাদিক আবেদ খান এবং নাট্যকার অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী।
সংবর্ধিত গুণীজন চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ অনুপস্থিত থাকায় তার প্রতিনিধির কাছে উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা স্মারক হস্তান্তর করা হয়।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা স্মারকপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
এ সময় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, “ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের আখরে লেখা আমাদের সংবিধান। সংবিধান নিয়ে যেভাবে কাটাছেঁড়া করা হয়েছে, তা কষ্টের। আপনারা খেয়াল রাখবেন, এই সংবিধানটা যেন আমরা আমাদের বক্ষে ধারণ করি, এটাকে প্রটেক্ট করি।”
তিনি আরও বলেন, “রাজশাহীতে ২০১৫ সালে একবার এসেছিলাম। এবার এসে দেখছি আমূল পরিবর্তন। রাজশাহীর দৃশ্যমান এই উন্নয়ন প্রমাণ করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।”
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এখানে কৃষিপণ্য নির্ভর শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া খুবই দরকার। সেটা হলে রাজশাহীর কৃষি নিয়ে সেখানে গবেষণা হতে পারে। যা কৃষিতে উচ্চফলনশীল জাতের বীজ উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখবে। কৃষির মাধ্যমে এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন, সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল উপস্থিত ছিলেন।