ধ্বংসাত্মক বন্যার পর অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হওয়ায় ঋণ হিসাবে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছে শত শত কোটি ডলার চাইবে পাকিস্তান। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বুধবার ফিনান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, “আমরা ঋণের পুনঃতফসিল বা স্থগিতাদেশের মতো কোনো পদক্ষেপ চাইছি না, আমরা অতিরিক্ত তহবিল চাইছি।”
ফিনান্সিয়াল টাইমসের দেওয়া উদ্ধৃতিতে শরিফর বলেছেন, বন্যায় রাস্তা, সেতু ও অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় পুনর্নির্মাণের জন্য ‘বড় ধরনের উদ্যোগ’ নিতে হবে আর এ জন্য পাকিস্তানের ‘বিপুল পরিমাণ অর্থ’ দরকার।
পাকিস্তান কী পরিমাণ অর্থ চাইছে শরিফ তা নির্দিষ্ট করে বলেননি কিন্তু হিসাব অনুযায়ী বন্যায় তিন হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
দেশটিতে নজিরবিহীন বন্যার পর পানিবাহিত রোগের বিস্তার এবং বাড়তে থাকা অনাহার নতুন বিপদ ডেকে আনতে পারে এমন শঙ্কায় চলতি মাসের প্রথমদিকে জাতিসংঘ পাকিস্তানের জন্য আবেদন করা মানবিক ত্রাণ সহায়তার পরিমাণ ১৬ কোটি ডলার থেকে পাঁচ গুণ বাড়িয়ে ৮১ কোটি ৬০ লাখ করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদের বন্যা সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে প্রায় তিন কোটি ইউরো করেছে।
বন্যার পাশাপাশি পাকিস্তানের মুদ্রার দরপতনে আমদানি, ধার ও ঋণ পরিষেবার খরচ বেড়ে গেছে এবং মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা ইতোমধ্যেই কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৭ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বন্যায় অর্থনীতির হিসাবকৃত তিন হাজার কোটি ডলারের ক্ষতির পাশাপাশি ইসলামাবাদের বৈদেশিক ঋণের শর্ত পূরণের মতো অর্থ বাড়ানোর ক্ষমতা আছে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে।