ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ধনীর সিংহাসন খুইয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক।
এ বাণিজ্য সাময়িকীর ‘রিয়েল-টাইম বিলিয়নেয়ার্স লিস্ট’-এর সর্বশেষ হালনাগাদে মাস্ককে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছেন ফ্রান্সের লাক্সারি গ্রুপ এলভিএমএইচ-এর প্রধান নির্বাহী বের্নার্ড আর্নো।
সোমবার মাস্ককে টপকে ফোর্বসের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে নেন আর্নো। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, সোমবার দিন শেষে শেয়ার বাজারে টেসলা শেয়ার দর পড়েছে ৬.৩ শতাংশ। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
মাস্কের সম্পদের সবচেয়ে বড় উৎস টেসলা। কিন্তু, গত এক বছরে অর্ধেকের বেশি বাজার মূল্য হারিয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ির এ কোম্পানি। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, টেসলার এ পরিস্থিতির জন্য মাস্কের খামখেয়ালী টুইটার অধিগ্রহণই দায়ী।
মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি নিজের অধীনে নিতে চার হাজার চারশ কোটি ডলার খরচ করেছেন মাস্ক; এর একটি বড় অংশ সংগ্রহ করেছেন টেসলার শেয়ার বেচে।
অন্যদিকে মাস্কের টুইটার নিয়ে অতিআগ্রহে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন টেসলার বিনিয়োগকারীরা; টেসলা ছাড়াও স্পেসএক্স এবং বোরিং কোম্পানির কাণ্ডারী টুইটার কেনার পর অন্য কোম্পানিতে যথেষ্ট সময় দিতে পারবেন কি না, সে বিষয়েও সন্দিহান ছিলেন তারা।
বাজারে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল টেসলা; কোম্পানির সাফল্যে শেয়ার বাজারেও দর বেড়েছিল টেসলা শেয়ারের। সিএনবিসি জানিয়েছে, মাত্র দুই বছরে টেসলা শেয়ারের দাম বেড়েছিল ১০০০ শতাংশের বেশি।
আর টেসলা ইলন মাস্কের সম্পদের মূল উৎস হওয়ায় শেয়ার বাজারে টেসলা শেয়ারের দরপতনের ভুক্তভোগী হলেন মাস্ক নিজেও।
মাস্ককে হটিয়ে ফোর্বসের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন যে বের্নার্ড আর্নো, লাক্সারি গ্রুপ এলভিএমএইচ-এর ৬০ শতাংশ ভোটিং শেয়ার রয়েছে তার মালিকানায়। ফেনডি, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর এবং সেফোরার মত বেশ কিছু বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের মালিক ওই বহুজাতিক কোম্পানি।
ফোর্বসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আর্নোর সম্পদের পরিমাণ এখন ১৮ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। আর শেয়ার বাজারে টেসলার দরপতনে ইলন মাস্কের সম্পদ নেমে এসেছে ১৮ হাজার ১৩০ কোটি ডলারে।
বাজার বিশ্লেষক ‘ফ্যাক্টসেট ডেটা’র তথ্য অনুযায়ী, মাস্কের হাতে বর্তমানে টেসলার ১৪.১১ শতাংশ শেয়ার আছে। এ ছাড়াও স্পেসএক্সের ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিক তিনি।
তবে, ব্লুমবার্গের ‘বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স’-এ এখনও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন মাস্ক।
বাণিজ্য প্রকাশনাটির তালিকায় ১৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে শীর্ষে আছেন মাস্ক। ১৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন আর্নো।
সিএনবিসি লিখেছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুই প্ল্যাটফর্মের পদ্ধতিগত পার্থক্যের কারণেই বিপরীতমুখী ফলাফল এসেছে তালিকায়।