Loading...
The Financial Express

পঞ্চগড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় একজনের মৃত্যু

| Updated: December 25, 2022 14:30:20


পঞ্চগড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় একজনের মৃত্যু

বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ে দলটির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার পুলিশের লাঠিপেটায় ওই ব্যক্তি মারা গেছেন বিএনপির পক্ষ থেকে এমনটা দাবি করা হলেও; পুলিশ বলছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

মৃত আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫০) বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু।

তিনি দাবি করেন, “মিছিল বের করার পর পরই পুলিশ কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে এবং কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে রশিদ আরেফিন মারা যান।

বিএনপি নেতা আরও বলেন, এ সময় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবুসহ দলটির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

তবে বিকালে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, “ওই ব্যক্তি পুলিশের লাঠির আঘাতে মারা যাননি। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। 

চিকিৎসকও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন এ কথা তার পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছে। তবে বিতর্ক এড়াতে মরদেহের ময়নাতদন্ত করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এসপি আরও বলেন, “বিএনপির মারমুখী নেতা-কর্মীদের ইটের আঘাতে ১০ থেকে ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ৩টার দিকে শহরের তেঁতুলিয়া সড়কের বিএনপির কার্যালয় থেকে গণমিছিল বের করা হয়। এর আগে থেকেই নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হন এবং সড়কটিতে যানচলাচল ব্যাহত হয়।

মিছিল বের করার পর পরই পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং মিছিল নিয়ে এগোতে নিষেধ করে। নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। তখন সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে সড়কের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ ছোটাছুটি শুরু করে, যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের কাঁদুনে গ্যাসের বিপরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।   

আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত রশিদ আরেফিনের লাশও হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তৌহিদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “আব্দুর রশিদ আরেফিন নামে এক রোগী হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। তার মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

পুলিশ জানিয়েছে, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

Share if you like

Filter By Topic