সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা বেতন ও দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ বাড়ানোসহ দশ দাবিতে নৌ শ্রমিকদের কর্মবিরতির ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে থেমে আছে পণ্য খালাসের কাজ।
রোববার বন্দরের বর্হিনোঙ্গর ও কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা বিভিন্ন লাইটারেজ জাহাজে পণ্য খালাসের কাজে শ্রমিকরা যোগ দেননি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, “বন্দরে বর্হিনোঙ্গরে ২২টি বড় জাহাজে পণ্য খালাসে কার্যক্রম চলছিল, তবে কর্মবিরতির কারণে লাইটারেজ শ্রমিকরা কাজে যায়নি।”
শনিবার মধ্যরাত থেকে ‘নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের’ ব্যানারে সারাদেশে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। ধর্মঘটের ফলে সকালে ঢাকার সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলোও ছেড়ে যায়নি। সকাল ১০টা পর্যন্ত চাঁদপুর ও ভোলার ইলিশা রুটে দশটির মতো লঞ্চ ছাড়ার কথা থাকলেও কর্মবিরতির কারণে সেগুলো ছাড়েনি।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম ভূইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মজুরি পুনঃনির্ধারণ, মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ন্যূনতম ১০ লাখ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে মধ্যরাত থেকে সারাদেশে তাদের এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।
“সকল প্রকার নৌযান শ্রমিকেরা এ ধর্মঘটের অর্ন্তভুক্ত। গত বছরের জুন মাসে নতুন মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও দেড়বছরে তা হয়নি। আমরা আমাদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করলেও কিছু না হওয়ায় কর্মবিরতিতে গিয়েছি।”
শাহ আলম বলেন, “আমাদের দাবি যৌক্তিক। তেলের দামের বৃদ্ধির সঙ্গে নৌযানের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের এখন কোনঠাসা অবস্থা। তাদেরও তো বাঁচতে হবে।”
শ্রমিকদের অন্য দাবিগুলো হলো-
. শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ।
. ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিংপাস দিতে হবে।
· বাল্কহেডের রাত্রীকালীন চলাচলের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে হবে।
· বাংলাদেশের বন্দরসমূহ থেকে পণ্যপরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করতে হবে।
· চট্টগ্রাম বন্দরে প্রোতাশ্রয় নির্মাণ ও চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল করতে হবে।
· চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের চলমান কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
. কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ড ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন।