নোয়াখালীতে এক শিক্ষার্থীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ‘কিশোর গ্যাং’-এর সদস্যরা ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে জেলা শহরের চন্দ্রপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কামরুল হাসান জোবায়ের নামের ১৮ বছর বয়সী ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
নিহত কামরুল বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদিনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে জেলা শহরের চন্দ্রপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতো।
জেলা সদরের সোনাপুর এলাকার আইডিয়াল পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সিভিল ইঞ্জিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলো কামরুল।
নিহতের মা জেসমিন আক্তার জানান, সোমবার মাগরিবের নামাজের পর আরাফাত হোসেন লাদেন নামের এক সহপাঠী জোবায়েরকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বাসা থেকে ১০০ গজ দূরে সড়কের ওপর রক্ত ও জুতা পড়ে থাকতে দেখে জোবায়েরের মামা বাসায় এসে তার খবর জানতে চান। এ সময় জোবায়েরের মোবাইলে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে শোনেন ছেলেকে কারা পেটে ছুরিকাঘাত করেছে, তাকে হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লায় ছেলে মারা যায় বলে খবর পান জেসমিন।
স্থানীয়রা জানান, একই এলাকার রাকিব ও পিয়াসের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সোমবার সকালে সিনিয়র-জুনিয়র বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয় জোবায়েরের। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পিয়াসের ছোট ভাইকে চড়-থাপ্পড় দেয় জোবায়ের। এর জেরে সন্ধ্যায় রাকিব ও পিয়াসসহ কয়েকজন জোবায়েরের ওপর হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা জোবায়েরের পেটে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।
সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।