গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা।
রোববার ঢাকার গাবতলীতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন কর্মসূচি উদ্বোধন করে একথা জানান। তিনি।
‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি’র আওতায় বাসে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।
ইন্দিরা বলেন, “নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে সকল বাসে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নারীরা সিসি ক্যামেরাযুক্ত বাসে উঠতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। সিসি ক্যামেরা থাকায় এসব বাসের সাধারণ যাত্রীরাও সতর্ক থাকবে এবং তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে।”
বাসে চলাচলের সময় কোনো হয়রানির শিকার হলে ৯৯৯ ও ১০৯ নম্বরের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “হয়রানি বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে সিসিটিভির ফুটেজ আদালতে আলামত ও প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।”
কর্মসূচির আওতায় রাজধানীতে চলাচলরত পাঁচটি বাস কোম্পানির বিভিন্ন রুটের মোট ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এর মধ্যে চন্দ্রা টু ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার রুটের রাজধানী সুপার সার্ভিস লিমিটেড, গাবতলী টু গাজীপুর রুটের বসুমতি ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, মোহাম্মদপুর টু আবদুল্লাহপুর রুটের প্রজাপতি পরিবহন লিমিটেড ও ঘাটারচর টু আব্দুল্লাহপুর রুটের পরিস্থান পরিবহনের প্রত্যেকটির পঁচিশ বাসকে এর আওতায় আনা হয়েছে; আর গাবতলী টু সায়েদাবাদ রুটের গাবতলী এক্সপ্রেসের ৮টি বাসে প্রাথমিক পর্যায়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।
সরকারের অর্থায়নে কর্মসূচিটি বেসরকারি সংস্থা দিপ্ত ফাউন্ডেশন বাস্তবায়ন করছে।
গণপরিবহনে এশিয়ার অন্যান্য দেশের নারীরাও নিপীড়নের শিকার হন উল্লেখ করে ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেন, নারীদের জন্য সরকারের এত উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণের পরেও গণপরিবহনে নারীর প্রতি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে। যার ফলে সভ্যতার এযুগে নারীরা চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। এসব ঘটনা তাদের স্বাধীন চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করছে।
বাস মালিক সমিতির উদ্দেশে তিনি বলেন, “চালকদের নিয়োগ দেওয়ার আগে তাদের সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে যেন তারা অপরাধ করলে তাদের দ্রুত শনাক্ত করা যায়। যাত্রীদের সাথে গাড়ির চালক ও স্টাফদের উত্তম আচরণ কেমন হবে, সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।”
মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোলের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু, দিপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান, বাস মালিক সমিতির নেতা, চালক, স্টাফ, হেলপার ও যাত্রীসহ পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।