বিভাগীয় সমাবেশ সামনে রেখে ঢাকার নয়াপল্টনে জড়ো হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেঁধেছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ওই সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে বিএনপিকর্মীরা বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে জড়ো হতে শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপিকর্মীরা তাদের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশও সতর্ক অবস্থায় ছিল আশপাশের সড়কে।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে বিকাল ৩টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ ধাওয়া দিলে বিএনপি কর্মীরা ঢিল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ তখন রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোয়াট সদস্যদেরও দেখা যায় সেখানে।
পল্টন থানার ডিউটি অফিসার আকরাম হোসেন বলেন, “এখানে দাঙ্গা চলছে। ঊর্ধ্বতন স্যারেরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এক প্রতিবেদনে জানায়, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে নয়া পল্টন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের ধাওয়ায় বিএনপিকর্মীরা বিভিন্ন গলিতে গিয়ে ঢিল ছুড়তে থাকেন। পরে পুলিশ গলিতে ঢুকেও তাদের ধাওয়া দেয়।
বিএনপি অফিসে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, “নেতাকর্মীরা ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। টিয়ার গ্যাসে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেক কর্মীকে আহত অবস্থায় আটক করে নিয়ে গেছে।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, “১০ তারিখে বিএনপির সমাবেশের স্থান এখনো নির্ধারণ হয়নি কিন্তু আজ নয়াপল্টন পার্টি অফিসের সামনে উভয় পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বারবার অনুরোধ করার পরও রাস্তা ছেড়ে দেয়নি। পরে তাদেরকে উঠাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এভাবেই সংঘর্ষের ঘটনা। পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।”