মাঝে এক মাস কমার পর রান্না ও গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলপিজির দাম নভেম্বরে আবার বাড়ল।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বুধবার জানিয়েছে, নভেম্বর মাসে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির দাম পড়বে মূসকসহ ১০৪ টাকা ২৬ পয়সা, যা আগের মাসের চেয়ে ৪ টাকা ২৫ পয়সা বা ৪.২৪ শতাংশ বেশি।
অক্টোবরে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির জন্য ১০০ টাকা ১ পয়সা খরচ করতে হয়েছিল। সেপ্টেম্বরের চেয়ে কেজিতে প্রায় ৩ টাকা করে কমিয়ে ওই দাম ঠিক করা হয়েছিল অক্টোবরের জন্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে খুচরায় প্রতি কেজি এলপিজির দাম ছিল ১০২ টাকা ৮৮ পয়সা।
নতুন মূল্যহারে ভোক্তা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নভেম্বর মাসে পড়বে ১ হাজার ২৫১ টাকা, যা আগের মাসের চেয়ে ৫০ টাকা বেশি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন মূল্যহার কার্যকর হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সৌদি আরামকো কোম্পানির প্রপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির দাম ঘোষণা করে বিইআরসি।
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, নভেম্বরের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেন উভয়ের প্রতি টনের দাম ৬১০ ডলার। ৩৫:৬৫ অনুপাতে প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণের প্রতি টনের গড় মূল্য ধরা হয়েছে ৬১০ ডলার। এর ভিত্তিতে নভেম্বর মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের ভোক্তাপর্যায়ের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
বিইআরসির ঘোষণা অনুযায়ী, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত এলপিজির প্রতি কেজির দাম হবে মূসকসহ ১০১ টাকা ২ পয়সা। আর অটোগ্যাসের দাম মূসকসহ প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ২৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।