নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’সঙ্গে জড়িত আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
বুধবার রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে মো. আব্দুল্লাহ (২২), মো. তাম্বুল ইসলাম (৩৩), মো. জিয়াউদ্দিন (৩৭), মো. হাবিবুল্লাহ (১৯) এবং মো. মাহামুদুল হাসানকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয় বলে ইউনিট প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
তবে এ দলটির নেতা শামীম মাহফুজকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি জানিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান বলেন, “তাদের দলনেতা শামীম মাহফুজকে গ্রেপ্তার করা গেলে এই সংগঠনের আদর্শ ও উদ্দেশ্য জানা যাবে।"
এর আগে গত ২০ অক্টোবর বান্দরবান ও রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসারের সাত সদস্য এবং তিন পাহাড়িকে গ্রেপ্তারের খবর দেয় র্যাব।
পরে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, পাহাড়ের সশস্ত্র দল ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ বা ‘কেএনএফ’ বা বম পার্টির ছত্রছায়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ চলে জামাতুল আনসার সদস্যদের। সেজন্য দুই বছর আগে দুই সংগঠনের মধ্যে চুক্তিও হয়েছিল। সে অনুযায়ী প্রতি মাসে তিন লাখ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি কেএনএফ সদস্যদের খাবার খরচ বহন করে জামাতুল আনসার।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়া কয়েকজন তরুণের বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে সম্প্রতি নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
র্যাব বলছে উগ্রবাদে আকৃষ্ট হয়ে গত দুই বছরে বাড়ি ছাড়া ৫৫ তরুণের খোঁজ তারা পেয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৮ জনের একটি তালিকাও তারা প্রকাশ করেছে। তিন দফায় ওই দলের ১৯ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।